সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী পূর্ব সাতবাড়িয়া খেয়াখাটের পাশে ফুলজোড় নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে নদীর ভাঙ্গনে পার্শ্ববর্তী পূর্ব সাতবাড়িয়া গ্রামের ৩টি বাড়ি ও ৪ বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের ফলে আতংকিত হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, আবু তাহের ও শহিদুল ইসলাম জানান, বছর কয়েক আগে বর্ষা মৌসুমে এখানে নদী ভাঙ্গন শুরু হলে প্রথমে গ্রামের লোকজন গাছপালা ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করে।
পরে এ বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় থেকে এখানে কিছু বালির বস্তা ফেলে। কিন্তু পরবর্তীতে বর্ষা মৌসুমে প্রচন্ড স্রোতের তোড়ে বালির বস্তাগুলো প্রায় সবই ভেসে যায়।
উল্লিখিত ব্যক্তিরা আরো জানান, এবছর নদীতে আবারো ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ১ সপ্তাহে নদীর ভাঙ্গনে তাদের বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তবে কিছু ঘর তারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। নদীর ভাঙ্গনে পূর্ব সাতবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় ৪ বিঘা ফসলি জমি গত কয়েকদিনে নদীতে চলে গেছে। বর্তমানে নদীপাড়ের বাসিন্দারা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।
বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন অবিলম্বে তাদের ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষায় ভাঙ্গনের প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ইতোমধ্যেই তিনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অসময়ে নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় পূর্ব সাতবাড়িয়া গ্রামের লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানাবেন।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী পূর্ব সাতবাড়িয়া খেয়াঘাটের পাশে ফুলজোড় নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি অবহিত হয়েছেন।
তবে তাদের চলতি অর্থ বছরের বাজেটের সমদুয় অর্থ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আগামী জুন মাস নাগাদ নতুন করে অর্থ বরাদ্দের কথা রয়েছে। অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এই এলাকায় স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।