দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এসব হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং স্বল্প ব্যয়ে চিকিৎসা নেন গরিব দুখি মানুষ। এই সেবা নাটোর-৪ আসনের সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে দিতে চান। সুখে, দুখে সবসময় থাকতে চান মানুষের পাশে। সেই প্রত্যাশায় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হয়েছেন।
তিনি ব্যবসায়ী মো. সুজন আহম্মেদ। বড়াইগ্রামের জুয়াড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা। এবারই প্রথম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয়ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তার প্রতীক দোলনা।
এই আসনে নৌকা, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র, বিএনমসহ মোট নয় প্রার্থী নির্বাচন করছেন। তবে নৌকার সিদ্দিকুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের সাথে সমানতালে গণসংযোগ করছেন নির্দলীয় এই স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজন আহম্মেদ (দোলনা)।
সবশেষ বুধবার প্রায় দুই শতাধিক অটোরিক্সাসহ মোটরসাইকেল, হাইচ, বাস, মিনি ট্রাকসহ প্রায় পাঁচশতাধিক যানবাহনে কর্মী সমর্থক নিয়ে বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস থেকে শুরু করে বিশাল পথযাত্রা করেছেন এই প্রার্থী।
এরমধ্যে গুরুদাসপুরের নাজিমুদ্দিন স্কুল মাঠে পথসভা শেষে গাড়িবহর নিয়ে উপজেলার কাছিকাটা হয়ে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক হয়ে বড়াইগ্রাম পৌরসভায় গিয়ে শেষ হয়। এই বহরে দোলনা প্রতীকের অন্তত পাঁচ হাজার কর্মী-সমর্থক এই প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেন। তার এই প্রচারণা রিতিমতো নির্বাচনী এলাকার মানুষের নজর কাড়ছে।
ভোটাররা বলছেন, লিফলেট, ফেস্টুন নিয়ে ভোটারদের দড়জায় গিয়ে ভোট চাচ্ছেন এই প্রার্থী। আগে থেকে না চিনলেও প্রচার প্রচারণায় ভোটাররা জেনে গেছেন দোলনা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন সুজন আহম্মেদ। অন্য প্রার্থীদের সাথে তাকেও ভোট সীলে বিবেচনা করবেন অনেকে।
সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. সুজন আহম্মেদ বলেন, তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। ২০১২ সালে চিকিৎসা সরঞ্জামাদীর ব্যবসা শুরু করেছেন। তখন থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এসব হাসপাতালে দরিদ্ররা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। মানুষের সেবার করার ব্রত নিয়েছেন তিনি। মূলত জনগণের দোড়গোড়ায় সেবায় পৌঁছাতেই তিনি নির্বাচন করার পথ বেঁছে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে তিনি একেবারেই নবীন একজন ব্যক্তি। ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তাতে বেশ সারা পাওয়া যাচ্ছে। নতুন হিসেবে মানুষ তাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। ভোটে জয়ী হলে তিনি নিরলসভাবে মানুষের সেবা করতে চান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজন আহম্মেদ ছাড়াও নির্বাচনী মাঠে আছেন জাহিদুল ইসলাম (ঈগল), জাতীয় পার্টির (জেপি) এস এম সেলিম রেজা (বাই সাইকেল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির শান্তি রিবেরু (ডাব), তৃনমুল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকার (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের গাজী আবু সায়েম রতন (নোঙর), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলাউদ্দিন মৃধা (লাঙ্গল)।