কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মুন্সি (৪২) হত্যার ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪/৫ নাম অজ্ঞাত রেখে সোমবার রাতেই হত্যা মামলা করেছে নিহতের স্ত্রী রুজিনা আক্তার(২৮)।
মামলার বাদী রুজিনা আক্তার বলেন, দুই বছর পূর্বে একই গ্রামের সাইদুলের সাথে তার স্বামীর মারামারি হয়ে ছিল, সেই ঘটনার জের ধরেই মোস্তফাকে হত্যা করেছে তারা। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
কখন বাসা থেকে মোস্তফা বের হয়েছে জানতে চাইলে রুজিনা বলেন, দুপুরে খাবার খেয়ে বের হয়েছে আছর নামাজের পর খবর পাই আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে এই কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পরেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত মহিউদ্দিন, গোপাল ও শরিফ বলেন, মোস্তফাসহ আমরা ৪ জনে তাস খেলতে ছিলাম হঠাৎ করে সাইদুলসহ আরও একজন এসে মোস্তফাকে অতর্কিত ছুরিকাঘাত করে, আমরা ধরতে গেলে আমাদেরকেও ভয় দেখিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে বললে তারা সাংবাদিকদের জানান, যাকে হত্যা করা হয়েছে (মোস্তফা) সে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এবং যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারাও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, এই হত্যা কান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে কিছু কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে, এটা খুবই দুঃখজনক দাবি করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ বলেন,৷ যাকে হত্যা করা হয়েছে সে আমার ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তবে কি করতো তা আমি জানিনা।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি হত্যা মামলা করেছে।
আমরা আসামী ধরতে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছি। কি কারনে হত্যার ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে ওসি বলেন বাদীর এজাহার সুত্রে জানা যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের হারুন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে বসে তাস খেলার সময় এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে।