ঘুরে ঢুকে গৃহবধুর ওপর হামলা। খরের ঘরে আগুন। রাতের আঁধারে ঘটা এসব ঘটনায় কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি মকবুল হোসেন। অথচ এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তারই স্বজনদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
মামলায় এখনো হাযতবাস করছেন মকবুল হোসেনের আপন ভাতিজা রঞ্জু প্রামানিক (৪২), তার ভাই মুঞ্জু প্রামানিক ও মনিরুল ইসলাম নামের তিন ব্যক্তি। মামলার বাদি মকবুল হোসেনের বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামে। একই গ্রামে বাড়ি অভিযুুক্তদেরও। তারা পরস্পর আত্মীয়।
মিথ্যা মামলা দিয়ে এভাবে হযতবাসের প্রতিবাদ এবং মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে অভিযুক্তের পরিবার। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিজের বাড়িতেই ওই সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে কারাগারে বন্দি থাকা রঞ্জু ও মুঞ্জুর মা রাফেজা বেগম কান্নাজরিত কন্ঠে দাবী করেন, স্বজন হয়েও কী কারণে এমন মিথ্যা মামলায় তার সন্তানদের জড়িয়েছেন মকবুল হোসেন, তা তিনি জানে না। মিথ্যা মামলায় তার দুই সন্তানকে ধরে হাযতে দিয়েছে পুলিশ। তিনি ছেলেদের মুক্তিসহ মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাফেজা বেগম, হুসনে আরা বেগম, জালাল উদ্দিন, রবিউল করিম, আলাল সরদার, আবু বক্কার, বয়েজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, গত ১২ অক্টোবর দুপুরে মকবুল হোসেনের বাড়িতে আগুন লাগে। এরআগে একই মাসের ১১ তারিখে মকবুল হোসেনের স্ত্রীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বা সরোধে হত্যাচেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। সেসময় মকবুল হোসেনরা কাউকে চিনতে পারেননি। সবশেষ ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় মকবুল হোসেন তার আপন ভাতিজা রঞ্জুসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
তবে মামলার বাদী মকবুল হোসেন জানান, তারই আপন ভাতিজারা বাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। দৌড়ে পালানোর সময় আসামীদের আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান হোসেন জানান, মকবুল হোসেনের দায়ের করা মামলায় তিনজন হাযতে আছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে, একারণে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না।