
মহাসড়ক প্রসস্থকরণে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়রা
নওগাঁ-রহনপুর আঞ্জলিক মহাসড়কের ৩৩ কি:মি: প্রসস্থ;করণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল সম্পর্কিত আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই রাস্তা প্রসস্থ:করণ কাজের ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগে বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসক. নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ বিভাগ,নওগাঁ.,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,মহাদেবপুর ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী,সড়ক ও জনপথ বিভাগ.নওগাঁ এর বরাবর গত ২ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ করেন জেলার মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের মাতাজীহাট এলাকার হেফজুর রহমানের ছেলে ভুক্তভোগী শামসুজ্জামান ও মোহেবুজ্জামান।
অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে বদলগাছী –পত্নীতলা আঞ্জলিক মহাসড়কের মাতাজীহাট বাসষ্ট্যান্ড খাদ্য গুদামের বিপরীতে পাকা দালান ঘর নির্মাণ করিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসিতেছি। গত ২৩মার্চ কতিপয় ব্যক্তি এসে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই আমাদের ও আশেপাশে জমি ও রাস্তা-ঘাট মাপজোক করে ।
আমাদের ও আশেপাশের ৪-৫টি পাকা দোকান ঘর সহ প্রায় অধিকাংশ সম্পত্তিতে চিনহ ও লাল পতাকা লাগিয়ে দেয়। এতে আমরা দোকানীরা আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। খোজ-খবর নিয়ে জানতে পারি যে,নওগাঁ-বদলগাছী-পত্নীতলা-সাপাহার-পোরশা – রহনপুর আঞ্জলিক মহাসড়কের সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় রাস্তার দুপাশ বর্ধিত করণের কাজ হবে। অফিস সূত্রে জানা যায়,৩৩ ফুট যা ফুটপাত সহ মোট ৪৫ফুট প্রসস্থ হবে।
বর্তমানে রাস্তা কমবেশি ১৭ফুট আছে যা আর এস নকশা অনুযায়ী আছে ২৬ ফুট।রাস্তা ২৬ ফুটের অধিক প্রসস্থ করতে হলে জমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখন আইন মেনে করার কথা । কিন্তু তা মানা হচ্ছে না ।
বিনা নোটিশে আইনকে তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরেরু কর্মকর্তারা তড়িঘড়ি করে কাজ করার জন্য বিধি-ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোন বৈধ পন্থা অবলল্বন না করে প্রকল্পের কাজ আমাদের সম্পত্তির প্রায় সন্নিকটে চলে আসায় আমরা শংকিত হয়ে পড়েছি এবং উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। ভুক্তভোগিরা আরো অভিযোগ করে বলেন,রাস্তা বর্ধিত করণ হলে উভয় পাশে সমান অংশ না নিয়ে আমাদের পাশে বেশি ও রাস্তার অপর পাশে কম অংশ নেয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী শামনুজ্জামান বলেন,মাতাজীহাট বাসস্ট্যান্ড সড়কের খাদ্য গুদামের বিপরীতে রাস্তার পাশে আমাদের নিজ জমিতে পাকা দালান ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ দিন ধারে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছি। এ রাস্তার দুধারে প্রসস্থ;করণ প্রকল্পের কাজ চলমান। হঠাৎ করে আমাদের ফাঁকা জায়গা ও নির্মাণাধীন দালান ঘরের প্রায় অর্ধেক বিনা নোটিশে চিনহ ও লাল পতাকা লাগিয়ে দেয়। তাই আমরা উৎকন্ঠার মধ্যে বসবাস করছি। বিষয়টি উর্ব্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মো:রাশেদুল হক রাশেদ জানান,নওগাঁ-বদলগাছী-পত্নীতলা-সাপাহার-পোরশা ও রহনপুর আঞ্জলিক মহাসড়কের ৩৩ কি:মি: রাস্তার দুধারে প্রসস্থ:করণ প্রকল্পের কাজ চলমান।
তাই রাস্তা ও তার আশেপাশের জমি প্রাথমিকভাবে মাপজোখের কাজ চলছে। এ কাজে যদি কারো জমি ও দালান ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্টান পড়ে,তাহলে একোয়র করা হবে। তিনি আরো বলেন,দালান ঘরের জন্য দ্বিগুণ ও জমির জন্য তিনগুণ মুল্য পাবে মালিকেরা।