অবশেষে অপেক্ষার অবসান হলো। আজ শনিবার (১১নভেম্বর) কক্সবাজার দোহাজারী রেল প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে এবং পতাকা উড়িয়ে ও হুইসেল বাজান প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করেন। সেখানে বেলা ১১টার দিকে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর রামু থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের উদ্বোধন এবং ১ম টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতারবাড়ি টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন এবং মাতারবাড়ি ১২শ’ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার ২০ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। যার মধ্যে রেলসহ ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সে লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এদিকে জনসভাস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকার আদলে মঞ্চ, যেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভা পরিণত হবে জনসমুদ্রে এমনই বলছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
সমাবেশস্থলে সামিয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে মানুষের কষ্ট না হয় এবং খাবার পানির ব্যবস্থা ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে সেখানে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার আসেন। আর প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াসে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার।