
লোডশেডিং জনজীবন বিপর্যস্থ
রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে তীব্র লোডশেডিং। এ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন- সাময়িক সমস্যার কারনে সারাদেশে কমবেশী লোডশেডিং চলছে।
খুব শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। লোডশেডিংয়ের খবর পাঠিয়েছেন উল্লাপাড়া প্রতিনিধি। তিনি লিখেছেন- উল্লাপাড়ায় ভয়াবহ লোডশেডিং আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, তার ওপর ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে।
গত তিনদিন ধরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৫ ঘন্টাও থাকছে না বিদ্যুৎ। বিশেষ করে মাগরিবের আগ মুহুর্ত থেকে এশা পর্যন্ত আবার সেহরি রান্নার সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। এতে চরম বিপাকে পড়ছেন গৃহিনীরা। বিদ্যুৎ না থাকায় ইরি বোরো ধানে সেচ কার্য ব্যহত হচ্ছে।
কথা হয় বিদ্যুৎ গ্রাহক এবং মুরগির ফার্মের মালিক হোসেন আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, একদিকে বিদ্যুৎ নেই, অন্যদিকে অত্যাধিক গরমের কারনে তাঁদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ না থাকায় তার খামারের মুরগিগুলো এই প্রচন্ড তাপদহে মারা যাবার আশঙ্কা করছেন এই ব্যবসায়ী।
বেতবাড়ী গ্রামের কৃষক এবং অগভীর নলকূপের মালিক খাইরুল ইসলাম জানান, তার মোটরের আওতায় প্রায় ৪৫ বিঘা জমি রয়েছে। গত তিনদিন ধরে ভয়বাহ লোডশেডিং-এ তার জমিগুলোতে সেচ দিতে পারছেন না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবার ইরি বোরো ধানের প্রচন্ড ক্ষতি হবে বলে উল্লেখ করেন এই কৃষক।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মহা ব্যবস্থাপক আবু আশরাফ মোহাম্মাদ ছালেহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে গেছে।
চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা না কমলে এ অবস্থার উন্নতি হওয়া কঠিন। তবে তারা সরবরাহ অনুযায়ী সাধ্যমতো বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন বলে জানান মহা ব্যবস্থাপক।