সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুসকে হত্যার ঘটনায় অস্ত্রসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন এতথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনা জেলার বাঙ্গালা পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম তুষার (২৫), দিনাজপুরের সুজাপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথ মহন্ত (৩২), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার শহিদুল ইসলাম (৪০), শ্রী বলরাম চন্দ্র দাস (৩৮), উত্তম চন্দ্র দাস (৪০), মো. রহমত আলী (৩৮), সুনীল উরাও (৪৫), মো. রহমত আলী (৪৫)। ডিআইজি আব্দুল বাতেন জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার ভোগলমান বাজারে নিজ দোকানের সামনে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে আ. কুদ্দুস সরকারকে হত্যা করে। পরে তারা বাজারে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লিফলেট এবং স্লোগান দিতে দিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি তাড়াশ থানায় হত্যা মামলা হয়। তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দোগাড়ীয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি সন্ত্রাসী দল মহড়া দিচ্ছে বলে খবর আসে। এরপরই তাড়াশ থানার একটি টিম অভিযান চালিয়ে সাত জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা সুনীল উরাওকে তাড়াশ থানার তালম ইউনিয়নের দেওঘর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২০০২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনিবাড়ী পুলিশ ক্যাম থেকে লুট হওয়া ১টি এসএমজি, ১টি থ্রি-নট থ্রি রাইফেল, ১টি থ্রি নট থ্রি কাটা রাইফেল, ১১ রাউন্ড থ্রি নট থ্রির তাজা গুলি, ১টি গুলির খোসা, ২টি চাকু, ১টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ১টি অটোভ্যান জব্দ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. সামিউল আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. জুলহাজ উদ্দিন প্রমুখ উপিস্থিত ছিলেন।