নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু রাসেল ও গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিকের উদ্দ্যোগে নিরসন হলো ১০ টি গ্রামের প্রায় ছয় শ’ বিঘা কৃষি জমির দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতা।
নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলার সুন্দরবাড়ীয়া, মাঝগ্রাম, রামনাথপুর, টিটি মাঝগাঁও, কচুয়া, মৃধাকচুয়া, দুর্গাপুর, কাশিনাথপুর সহ ১০টি গ্রামের/মৌজার পানি বর্ষাকালে উপর থেকে চকাইখাল বেয়ে গড়িয়ে নেমে আসতো গড়মাটি এলাকার পদ্ম ও ভুজন বিলে।
যাহা পুনঃখননকৃত চকাই খালের মাধ্যমে পতিত হতো খলিশাডাঙ্গা নদীতে। কিন্তু কালের বিবর্তনে চকাই খাল ভরাট করে মৃধাকচুয়া এলাকায় ও গড়মাটির হারুখালিতে পুকুর/ঘর-বাড়ি তৈরী হয়েছে কেউ কেউ।
এতে প্রতিবছরই বর্ষা মওসুমে কয়েকটি গ্রামের কৃষি জমিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় কৃষকরা। চলতি বছরেও ঘটে অনুরুপ জলাবদ্ধতা।
এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গলবার এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা অন্তে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনের উপায় বের করেন।
আবদ্ধ পানি মৃধাকচুয়া গ্রামের সাঈদ, ফজল কবিরাজ ও ইসলামের জমির পাশ দিয়ে খাল খনন করে এলাকার পদ্ম ও ভুজন বিলের মাধ্যমে চকাই খালে গড়ানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহ ইউপি সদস্য সেলিম রেজা জানিয়েছেন স্থায়ীভাবে এ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য মৃধাকচুয়া এলাকায় প্রায় ৩শ’ মিটার এবং গড়মাটির হারুখালিতে প্রায় ৫শ’ মিটার খাল পুনঃখনন অতি প্রয়োজন।
এ সময় বড়াইগ্রাম উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বোরহান উদ্দিন মিঠু, উজেলার কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা, উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকার সাধারণ জনগণ উপস্তিত ছিলেন।