কড়িগ্রামের চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদের রমনা ঘাটে পণ্যবাহী পরিবহনের ভোগান্তি লাঘব করতে দ্বিতীয় ফেরি হিসাবে বেগম সুফিয়া কামালকে যুক্ত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল যুক্ত হওয়ায় পণ্যবাহী পরিবহনের ভোগান্তি লাঘবসহএ অঞ্চলের মানুষের মাঝে আনন্দ উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে,দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চিলমারী-রৌমারী নদী পথে ফেরি কুঞ্জলতা দিয়ে ফেরি সার্ভিসের শুরু হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর যার উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী(এমপি)।
ফেরি সার্ভিস শুরু হওয়ার ১সপ্তাহের মধ্যে এই পথে পণ্যবাহী গাড়ির ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায়।চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরি পারাপারের জন্য দিন-রাত অপেক্ষাসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়ে চালক-শ্রমিকরা।
অবশেষে চাহিদার উপর নির্ভর করে ভোগান্তি দুর করতে নতুন করে চিলমারী-রৌমারী রুটে ২য় ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল যুক্ত করা হয়। রোববার সন্ধায় বেগম সুফিয়া কামাল নামের ফেরিটি চিলমারী বন্দর রমনা ঘাটে পৌছলে এটি দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় জমে।
পরে সোমবার সকাল ৮.৪৫ মিনিটে চিলমারী ঘাট থেকে ৮টি পণ্যবাহী ট্রাক,২টি মাইক্রোবাস,২টি ট্রাক্টর ও বেশকিছু যাত্রী নিয়ে রৌমারীর উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করে।
ট্রাক চালক দুদু মিয়া বলেন,এর আগে ফেরি কুঞ্জলতায় গিয়েছিলাম,একটি ফেরির কারনে আমাদের অনেক সময় অপেক্ষা করতে হতো এবং পড়তে হতো ভোগান্তিতে,এখন ফেরি সুফিয়া কামাল যুক্ত করার অপেক্ষা করতে হলোনা এবং ভোগান্তিতেও পড়তে হলো না, তবে ভাড়ার পরিমান কিছুটা কমিয়ে দিলে এই রুটের চাহিদা অনেক গুন বাড়বে।
২য় ফেরি যুক্ত হওয়ায় ভোগান্তি দুর হবে এবং উন্নয়নের ছোঁয়া দেখবে পশ্চাৎপদ এই এলাকার মানুষ বলে এলাকাবাসীর দাবী।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়,আপাতত চিলমারী থেকে ১টি ফেরি সকাল ৭টায় রৌমারী ছেড়ে যাবে এবং রৌমারী থেকে একই সময়ে একটি ফেরি ছেড়ে আসবে। অপরদিকে শেষ ফেরিটি বিকাল ৪টায় দু’দিক থেকে ছেড়ে দিবে। তবে যানবাহন উঠানামা এবং যানবাহন পারাপারের উপর সময় কমবেশি হতে পারে।
বিআইডব্লিউটিসি চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক(বানিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন,পরিবহনের চাহিদার দিক বিবেচনা করে আরো একটি ফেরি এই রুটে যুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো ফেরি যুক্ত হবে।