বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম নৌবহর পাটিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বঙ্গবন্ধুর বাঙালিদের ভয় দেখানো যায়নি। ঠিকই মুক্তিযুদ্ধ এসেছে। এখন দুশ্চিন্তায় পরে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন নিয়ে ভিসা নীতি প্রয়োগ করছে। এ দেশের মানুষ বহিরশক্তির হুকুম জারিতে বিশ্বাসী নয়। দেশের জনগণই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করবে। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ঘামানোর কারণ নেই।
আসল কথা নির্বাচনের আগেই দুশ্চিন্তায় পরে মার্কিনীরা এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছেন। বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এই ভিসানীতি প্রয়োগ ঝিকে মেরে বউকে দেখানোর সামিল। তাদের আসল লক্ষ্য বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ভয় দেখানো। ভিসা নীতির ভয়ে সরকার যেন ভিসা নীতি প্রয়োগকারীদের কাছে নতজানু হয়। একই সাথে ইন্দো প্যাসিফিক নীতি মেনে বঙ্গোপসাগরে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। কিন্তু বাংলাদেশের সরকার তথা জনগণ তা তাদের আশা পূরণ হতে দেবেনা।
শনিবার বিকেলে নাটোরের লালপুরে আখছাষী নেতা শহীদ কমরেড আব্দুস সালামের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাসেদ খান মেনন।
আখচাষি নেতা কমরেড আব্দুস সালাম প্রসঙ্গে মেনন বলেন, কমরেড আব্দুস সালাম ছিলেন শ্রমজীবি মানুষের নেতা। সেই এলাকায় মিল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কোনভাবেই আখচাষীদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
দ্রুত ফিরিয়ে দিতে হবে আখচাষীদের আখ বিক্রির বকেয়া। এছাড়া চিনিকলকে আধুনিকায়ন ও বহুমুখি করণের মাধ্যমে চিনি উৎপাদন চিনিকলও কেরু এন্ড কং এর মতো লাভজনক করতে হবে।
শনিবার লালপুর উপজেলার গোপালপুর কড়ইতলায় জেলা ওর্য়াকার্স পাটির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখচাষী সমিতি, জাতীয় কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশ ওর্য়াকার্স পার্টি লালপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তৃতা করেন, ওয়াকার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য নুর আহমেদ বকুল, মিজানুর রহমান মিজান, কৃষক নেতা আব্দুল করিম, মতিউর রহমান, শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মিজান, শহীদ আব্দুস সালামের ভাই আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।