গত শুক্রবার ঢাকার মিরপুর কমার্স কলেজের সামনের সড়কে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের তিন জনসহ ৪ জন প্রাণ হারায়।
এসময় ওই পরিবারের ৭ মাস বয়সী শিশু হোসাইন মোহাম্মদ প্রাণে বেঁচে গেছে। একই পরিবারে মৃত ৩ জনের বাড়ি ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের আগলপাশা গ্রামে।
বাবা মাকে হারানো হোসাইনের কান্না কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। নিজের চার পাশে শুধু বাবা মাকে খুঁজছে অবুঝ শিশুটি।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টায় মৃতদের ঝালকাঠির গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের আগলপাশা গ্রামে হৃদয় বিদারক দৃেশ্যর সৃষ্টি হয়।
মা হারানো শিশু হোসাইনের চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। অবুঝ শিশুর কান্না দেখে কাঁদছে পাড়া প্রতিবেশিরাও। শিশু হোসাইনের ফুপু নাসরিন আক্তার জানান, কিছুতেই আমার ছোট বাবার কান্না থামছে না।
আমার বাবা এখন আমার সাথেই থাকবে। কিন্তু বাবা মায়ের অভাব কি করে পূরণ করবো। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
নিহত মিজান হাওলাদারের বাবা নাসির হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে, ছেলের বউ, নাতনীর মৃতদেহ শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঝালকাঠিতে নিয়ে এসেছি। সকাল ৯ টায় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
আমার ৭ মাস বয়সী নাতি হোসাইন মোহাম্মদকে আল্লাহ্ আমার কাছে চিহ্ন হিসেবে রেখেছে। ওকে মানুষের মতো মানুষ করবো।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে অতিবৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে গেলে মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ-সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়কে বিদ্যুতায়িত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়।
এরমধ্যে তিনজন একই পরিবারের। প্রানে বেঁচে ফিরেছেন নিহত মিজান-মুক্তা দম্পতির ৭ মাসের ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ।