বাংলাদেশের কিছু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই বিধি নিষেধ দেয়।
এর আগে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধি-নিষেধ আরপের পদক্ষেপ নেয়া শুরুর ঘোষণা দেয়ার পর, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছে আজ শুক্রবার।
এখনো জানা যায়নি কত জনের উপর এই বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বয়ান শীলার বলেছেন, 'আমরা যখনই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘটনাবলীর উপর গভীর দৃষ্টি রাখছে। সতর্কতার সঙ্গে তারা তথ্য প্রমাণ পর্যালোচনার পর আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর ভিসা নিষেধ আরোপ করেছি।'
এই মুখপাত্র কথা বলার ঘন্টাখানেক আগে আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
পররাষ্ট দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধা দানে দায়ী এবং তাতে সহযোগিতাকারী ব্যক্তিদের উপর ভিসা বিধি নিষেধ আরপের পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু অবাদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি মতে, ভিসা বিধ-নিষেধ আরপের আওতায় থাকা ব্যক্তিরা এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না ।
এর আগে বাংলাদেশে অবাদ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশীদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।