ল্যাব সহকারি পদে চাকুরি দেওয়ার নামে এক নারীর (৩০) কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোহেল রানা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি ওই নারী।
ক্ষতিগ্রস্ত নারী উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামের বাসিন্দা। টাকা ফেরৎ পেতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী।
সোমবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত নারী ফেরদৌসি খাতুন তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ সোহেল রানা ও তার স্ত্রী কলি খাতুন আমাদের প্রতিবেশি। মরহুম আব্দুল কুদ্দুস এমপির চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সোহেল।
সেই কারনে এমপি সাহেবের বাড়িতে তাদের যাতায়াত ছিলো। প্রতিবেশি হওয়ার কারনে আমাদের সাথেও সোহেল ও তার স্ত্রীর নিবিড় সম্পর্ক ছিলো। মাস্টার্স শেষ করে বাড়িতে বেকার ছিলাম আমি।
এ কারনে একদিন সোহেল এবং তার স্ত্রী আমাকে উপজেলার পৌরসভায় অবস্থিত বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজে ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট পদে চাকুরি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা চায়।
তারপর আমি আমার পরিবারের সাথে কথা বলে সরল বিশ্বাসে বাড়ি বন্দক রেখে ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে দুই কিস্তিতে ১৩ লাখ টাকা সোহেল ও তার স্ত্রী কলি খাতুনের হাতে তুলে দেই তাদের বাড়িতে গিয়ে। পরবর্তীতে নিয়োগ পরীক্ষার সময় হয়ে আসলে সোহেলকে বললে সে আমাকে উল্টো গালাগালি করে।
সোহেল ও তার স্ত্রী কলি খাতুন আমাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তখন মরহুম আব্দুল কুদ্দুস এমপি বেঁচে থাকাকালিন তার কাছে এই বিষয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ করেছিলাম।
তৎখনাত তিনি সোহেল ও তার স্ত্রীকে তার নিজ বাড়িতে ডেকে তার নাম ভাঙ্গিয়ে কেন টাকা নিয়েছে এসব কিছু জানতে চান। তখন সোহেল বলে টাকা নিয়েছি খরচ হয়ে গেছে।
এরপর এমপি সোহেলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা গুলো ফেরৎ দিতে বলেন এবং আমাকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন সোহেলের নামে। এতকিছুর পরেও টাকা গুলো ফেরৎ দিচ্ছেনা।
ঋণ যাদের কাছে করেছিলাম তারা টাকার জন্য খুব চাপ প্রয়োগ করছে। আমি সোহেল ও তার স্ত্রীর বিচার দাবি করছি এবং আমার টাকা ফেরৎ যেন পাই সেই জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত সোহেল মুঠোফনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ আমার ও আমার স্ত্রীর নামে দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাঃ মনোয়ারুজ্জামান জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চলছে।