কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যায় ৪২০ হেক্টর জমির আমন ফসল বিনষ্ট হওয়ায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উঠতি ফসলের ও ব্যাপক সাধিত হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজলার রানীগঞ্জ, রমনা, থানাহাট, অষ্টমিরচর, নয়ার হাট ও চিলমারী ইউনিয়নের মোট ৪২০ হেক্টর রোপা আমনক্ষেত, ২৫ হেক্টর আমন বীজতলা, ৮০ হেক্টর শাক-সবজি, ৭ হেক্টর জমির মরিচ ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়ে সম্পুর্ণ রূপে বিনষ্ট হয়েছে।
“উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। পাত্রখাতা ও রানীগঞ্জ এলাকায় পোটল ও বেগুন খেত প্লাবিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
— চিলমারীর কৃষক
পাত্রখাতা ও রানীগঞ্জ এলাকায় পোটল ও বেগুন ক্ষেতে পানি উঠায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
এতে করে ৬ হাজার ৩ শত ৯০ জন কৃষক ক্ষতি গ্রস্ত হয়। রনীগঞ্জ এলাকার কৃষক আজিজুল হক জানান, ২য় দফা বন্যার পর দূর-দূরান্ত থেকে চড়া মূল্যে আমন চারা ক্রয় করে এনে ৫ একর জমিতে রোপন করি।
আকষ্মিক ৩য় দফা বন্যায় সম্পূর্ণরূপে পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে একে বারে বিনষ্ট হয়ে যায়।
আমন মৌসুম শেষ হতে চললেও চারা সংগ্রহ করতে না পারায আমন চারা রোপন করতে পারছে না। সামনের দিনে কী করবো তা নিয়ে দূশ্চিন্তায় আছি।
পুটিমারী এলাকার কৃষক মোঃ নুরুজ্জামান জানান, বন্যায় ২ বার আমন ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় ৩য় আর আমন চারা রোপনের জন্য অতি কষ্টে চড়া মূল্যে লালমনির হাট থেকে চারা ক্রয় করে নিয়ে আসতেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রনয় বিষান দাশ জানান, বন্যার ক্ষতি পুশিয়ে নিতে কৃষি প্রনদনার জন্য গম, ভুট্টা, ডাল ও শাখ শবজির চাহিদা পাঠানো হয়েছে।