
গুরুদাসপুরে পারিবারিক দ্বন্দ্বে কুপিয়ে যখম- ছবি মুক্ত প্রভাত
নাটোরের গুরুদাসপুরে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহেরা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহ বধুকে কুপিয়ে যখম ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিবাদী- মো. রজব আলী (২৮) তার ভাই মো. মোস্তফা (৩৮), মোছা. রোকেয়া বেগম (৩০), মেঘলা খাতুন (১৯), রাবেয়া বেগম @ রুবি (৩০) ও রাজমিস্ত্রী রহিমের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার খামারনাচকৈড় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় শাহেরার স্বামী জহুরুল ইসলাম ও মেয়ে জাকিয়া সুলতানাও আহত হয়েছে।
পরিবার ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাযায়, মো. জহুরুল চাদর ও মশারীর ব্যবসা করেন। ভিটা বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাদের ঝগড়াবিবাদ লাগে। ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে তাদের উপর অত্যাচার চালায় বিবাদী রজব আলী। গত বুধাবার দুপুরে মোকাম হতে চাদর, মশারী কিনে বাড়ি ফিরেন জুহুরুল। চাদর, মশারি গুলো বিবাদী রজবের বাড়ির ভেতর দিয়ে ঘরে নেওয়ার সময় উঠানের শুকাতে দেওয়া শাড়ী সরিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় বিবাদী রজবের স্ত্রী রোকেয়া তাদের গালাগালি করতে থাকে।
একপর্যায়ে তাদের ঝগড়াবিবাদ লেগে গেলে প্রতিবেশীরা তাদের থামিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর জহুরুলসহ অন্যান্য বিবাদীগণ এসে ভুক্তভোগীদের উপর লাঠি, বাটাম নিয়ে আক্রমন করে এবং রজব আলী হাসুয়া দিয়ে তার স্ত্রীকে কুপিয়ে যখম করে এবং ঘরে থাকা নগদ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এক ভরি স্বর্ণ অলংকার ছিনতাই করে। তারা ডাক চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বিবাদীগণ খুন যখমের হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. চৈতি মুন্সি বলেন, শাহেরা বেগমের মাথায় কোপের আঘাতে প্রায় এক ইঞ্চি ডিপ হয়েছে। নয়টি শেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত আছে। জহুরুল ও তার মেয়ের শরীরে ফোলা কালশিরা রয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোনোয়ারুজ্জমান বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।