
দখলকৃত জমির ছবি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দক্ষিন জগন্নাথপুর গ্রামে রাতের আঁধারে ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে সমেশ্বর উড়াও ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায় ,দখলকৃত জমিতে কিছু গাছ ও একটি টিনের ঘর বাকি চারপাশে ভূট্টাক্ষেত ও বাঁশঝাড়। শ্রী বাসন্তি উড়াও অভিযোগে বলেন,জগন্নাথপুর মৌজার ৭৩১৯ খতিয়ানের, ১৪২০ নং দাগের ৭৭ শতকের আমি মালিক ও দখলদার হঠাৎ রাতের অন্ধকারে ২০/২৫ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে।
আমি নিজ নামে জমি খারিজ করেছি সরকারের বরাবরে খাজনা পরিশোধ করেছি ভোগদখল থাকা অবস্থায় গত ১৩/০৩/২০১৩ তারিখে দিবাগত রাতে সমেশ্বর উড়াও, পিতা- বিরশা উড়াও, শিউলী উড়াও, স্বামী- সমেশ্বর উড়াও,সাং- রসুলপুর, মিঠাপুকুর, রংপুর আমার জমিতে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে টিনের চালা ও টিনের বেড়া দিয়া একটি ঘর নির্মান করে।
সেখানে বে-আইনী ভাবে অবস্থান করছে। এ ছাড়াও কিছু গাছ রোপন করেছে।পরদিন সকালে আমি দেখতে যাই ,উক্ত ঘরের কাছে গিয়ে দেখি যে সেখানে বিবাদীগন অবস্থান করিতেছে।
আমি ঘর তুলা ও গাছ রোপন করার কারন জিজ্ঞাসা করিলে বিবাদীগন আমাকে হুমকী দিয়া বলে যে, জমির দখল দেখানোর জন্য আমরা ঘর তুলেছি এবং গাছ রোপন করেছি। তাদের বে-আইনী কাজে বাধা দিলে তারা আমাদেরকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে ।
স্থানিয়রা জানান , ভূট্টাক্ষেতের মাঝে একটি ফাকা জায়গা ছিলো কিছুদিন আগে হঠাৎকরে দেখি সেখানে কিছু গাছ ও একটি টিনের ঘর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসিরা জানান, সমেশ্বরের বাসা রংপুরে সে মাজেদ নামে একজনের ছত্রছায়ায় হঠাৎ করে কিছু লেবার নিয়ে রাতের অন্ধকারে ফাঁকা যায়গায় টিনের একটি ঘর তৈরি করছে এবং সেখানে কিছু গাছ লাগিয়েছে,সেখানে কখনো কখনো লোক দেখা গেলেও বেশিরভাগ সময় ঘরটি ফাকা দেখা যায়।
এজন্য আমরা এলাকার মানুষ অনেক আতঙ্কে আছি কখন কি দূূর্ঘটনা ঘটে আর তার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ যেন না হয় ।এ জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
অভিযুক্ত সমেশ্বর উরাও বলেন,আমরা এখানে অনেকদিন ধরে বসবাস করতেছি এ বিষয়ে কোর্টে আমাদের মামলা চলতেছে তারপরেও তারা আমাদেরকে অত্যাচার করতেছে।এ বিষয়ে আমরা সমাধানে বসার চেষ্টা করেছিলাম পরে তারা থানায় বসেছিল ।
আইনগতভাবে এ জমি আমরা পাই এটা আমার স্ত্রীর পয়তৃক সম্পত্তি। মংলা উরাওয়ের কন্যা শিউলি উরাও দাবি করেন,এ অংশ আমার বাবার ,আমার বাবা অনেক আগে মারা গেছেন এ অংশের আর কোন অংশিদার নাই এখন সে হিসেবে আমি অংশিদার।এখন এ জমি আমার চাচা দাবি করতেছে ।
আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ে আছে ভাই থাকলে মেয়েরা সম্পত্তি পায়না কিন্তু আমার কোন ভাই নাই সে সুত্রে এ আমি জমির মালিক ।বুধু,হারুন,সুমন আমাদের এখানে থাকতে দিবেনা বলে হুমকি দিচ্ছে ।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।