
আহত
ঝালকাঠিতে স্কুল শিক্ষিকাকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় আতিক নামের এক সাবেক স্বামিকে আটক করেছে পুলিশ। আহত শিক্ষিকা রুনা খানম (৩৫) ঝালকাঠি পৌর এলাকার শাহী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে কর্মরত।
শিক্ষিকার শরীরে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত জখমের পর স্বামি আতিকুর রহমান পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে। আতিকের দাবী রুনা খানম তার স্ত্রী ছিলেন। গত ২০২১ সালের ১৮ জুলাই তারিখ তাদের বিয়ে হয় এবং পারিবারিক কলহের কারনে পরের বছর ২০২২ সালের ১৫ জুন সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়।
রোনাল্ডস রোডের প্রত্যাক্ষদর্শী জেসমীন সুলতানা, বায়জীদ হাওলাদার এবং আশিকুর রহমার জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার কিছু আগে বাসা থেকে শহরের শীতলা খোলা শাহী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন রুনা। যাবার পথে সাধনার মোড়ে শিক্ষিকার পথ রোধ করো পেটে ও বুকে চাকু দিয়ে আঘাত করে আতিকুর রহমান।
রক্তাক্ত যখম হয়ে শিক্ষিকা রুনা মাটিতে লুটিয়ে পরে।
ঘটনার সময় ঐ মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই শাখাওয়াতের কাছে রক্তমাখা ছুড়ি সহ আত্মসমর্পন করে আতিক। আত্মসমর্পনের সময় আতিকুর রহমান বলেন, আমি হত্যার উদ্দেশ্য রুনাকে কুপিয়েছি। এর পরেই সদর থানা পুলিশের একটি ভ্রাম্যমান দল ঘটনাস্থল থেকে আতিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রকাশ্যে সড়কে দাড়িয়ে নারীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় আতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মে. নাসির উদ্দিন সরকার।
আটককৃত আতিকুর রহমান ঝালকাঠি রোনাল্ডস রোডে শিশুসর্গ নামের একটি আর্ট স্কুল পরিচালনা করেন। আর আহত শিক্ষিকা শহরের রোনাল্ডস রোডে ভাড়া বাসায় থাকেন।
তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার মুরাসাতা গ্রামে বলে জানিয়েছেন ওসি। এদিকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়
আহত শিক্ষিকা রুনা খানম কে।
তবে আহতের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় সেখানকার জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঐ সময়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডা. মেহেদী হাসান সাগর বলেন, রোগীর পেট ও স্তনসহ শরীরের ৪ জায়গায় জখম হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে তার রক্তচাপ নিচে নেমে গেছে। তাই তাকে বরিশাল মেডিক্যলে পাঠানো হয়েছে।