মানিকগঞ্জে জাহিদ হোসেন নামে ২৬ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও এলাকাবাসী বলছে জাহিদকে খুন করা হয়েছে। বাবার হাতে তিনি খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার।
মৃত জাহিদের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের নতুন বাইচাল গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মোতালেবের (বুইধা) ছেলে। জাহিদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রোববার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় জাহিদকে তার বাবা আব্দুল মোতালেব হত্যা করেছে।
সন্দেহের কারণ হিসেবে তারা জানান, জাহিদের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরিবারে ইচ্ছের বাইরে গিয়ে প্রায় এক বছর আগে জাহিদ মেয়েটিকে বিয়ে করে। এরপর বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
গ্রামবাসী বুঝানোর পর পরিবারের অন্যরা মেনে নিলেও জাহিদের বাবা মেনে নেয়নি। সেজন্য মাঝেমধ্যেই বাবা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া হতো। এই ক্ষোভ থেকেই তিনি ছেলেকে হত্যা করেছেন বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া মরদেহের মাথার পেছনে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জাহিদের বাবা ও মা বলেছেন, রাতের কোনো এক সময় জাহিদ আত্মহত্যা করেছেন। তাকে মেরে ফেলার অভিযোগ সত্য নয়।
রক্তক্ষরণের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মোতালেব বলেন, ঝুলে থাকা মরদেহ নামানোর সময় মাথার পেছনের অংশ খাটে লেগে ফেটে রক্তক্ষরণ হয়।জ
জাগীর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেন জানান, বাবার হাতে জাহিদ খুন হয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবি করলেও পরিবার বলছে আত্মহত্যা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে। তদন্তের পর তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার জানান, সকালে ঘটনাটি শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।