কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় জামাই-শশুরের সমকামিতা সম্পর্কের কারনে সংসার ভাঙ্গলো মা-মেয়ের।
এমন এক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী জামাই-শশুরের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা হলেন দড়িকান্দি গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ ভূইয়ার ছেলে শশুর নুরুজ্জামান ও একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে জামাই রুবেল।এমন অভিযোগ করেন বাহরাইন প্রবাসী নুরুজ্জামানের স্ত্রী পুষ্প (ছদ্মনাম)।
সরেজমিনে গেলে বাহরাইন প্রবাসী নুরুজ্জামানের স্ত্রী পুষ্প অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বিয়ে হয়েছে ২১ বছর হয়েছে। এই ২১ বছর সংসার জীবনে আমার দুই ছেলে ও ১ মেয়ে। এতো বছর ভালোই চলছিলো আমাদের সুন্দর সংসার। হঠাৎ এই সুন্দর সংসারে নেমে আসে কালো ছায়া।
গত চার বছর পূর্বে আমার স্বামী দড়িকান্দি গ্রামের রুবেল নামে এক ছেলেকে বিনা পয়সায় বিদেশে নেয়। এরপর থেকেই রুবেলের সাথে এক অন্য রকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে নুরুজ্জামানের। ঠিক মতো খোঁজখবরও নিতো না আমার।
বিদেশে এক বিছানায় এক কম্বলের ভিতর থাকতো এবং সমকামীতা করতো দুইজন। যা কয়েকবার দেখে ফেলে আমার ভাই, ভাগিনা ও বোন জামাইরা। এতে তারা বাঁধা দিলেও তাদের বাঁধা মানতো না আমার স্বামী।
একপর্যায়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশে আসে আমার স্বামী ও রুবেল। দেশে এসে আমার সাড়ে ১২ বছর নাবালিকা মেয়েকে জোর করে রুবেলের সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য করে আমার স্বামী।
মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর রুবেল ও আমার স্বামী জামাই-শশুরের সম্পর্কের আচার -আচরণ না করে আগের মতোই দুইজন সমকামিতায় লিপ্ত হয়, তাদের এমন আচরণ আমার মেয়ে বুঝতে পারে এবং মেয়ের বাবার মোবাইলে তাদের দুজনের সমকামিতার ভিডিও দেখতে পেয়ে রুবেলকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসে।
পুষ্প আরও বলেন মেয়ে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসার পর রুবেল আমার স্বামীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে এবং বুঝিয়ে কোন কারন ছাড়াই গত ১৩ আগষ্ট আমাকে তালাক নামা নোটিশ পাঠিয়েছে।
আগেও রুবেল আমার স্বামীকে গাছের সাথে বেধে কয়েকবার মারধর করেছে। বর্তমানে আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে আছি। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই এবং ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমি আমার স্বামীর সংসার করতে চাই।
এদিকে সব কিছু অস্বীকার করে বাহরাইন প্রবাসী সমকামিতা অভিযুক্ত নুরুজ্জামান বলেন, আমার স্ত্রী আমার কথা শুনতো না এবং আমার লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাই আমি তালাক দিয়েছি, এটা আমার ব্যাপার।
অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত রুবেল বলেন, নুরুজ্জামান ও আমি জামাই-শশুর সম্পর্কের পূর্বে আমাদের দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিলো, এখন ওনার মেয়ে আমাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে।
এখন আবার বন্ধুত্বের মতোই চলি ভবিষ্যতেও এই বন্ধুত্ব থাকবে। আমাদের মধ্যে কোন সমকামিতা সম্পর্ক নাই।
অপরদিকে সাংবাদ কর্মীরা নুরুজ্জামান ও রুবলের বাড়ি কোনটা জানতে চাইলে স্থানীয়রা অনেকটা আগ বাড়িয়েই বলতে শুরু করেন, নুরুজ্জামান ও রুবেলের চলাফেরা প্রেমিক-প্রেমিকার মতো।
সারাদিন-রাত এক সাথে থাকে। তাদের মধ্যে জামাই শশুর এর কোন সম্পর্ক দেখা যায় না। একটা হুন্ডা দিয়ে দুজনে সারাদিন ঘুরে।