নাটোরের বড়াইগ্রামে চালকের গলায় উপর্যুপরি চাকু মেরে চার্জার ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত আশরাফুল হক আবু (৩২), নাসিম (১৬) ও সুরুজকে (১৯) শনিবার আটক করেছে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যমতে ছিনতাইকৃত চার্জার ভ্যান ও ছিনতাইকালে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। অপর এক আসামীকে আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
আশরাফুল হক আবু বাগাতিপাড়া থানার পেরাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র, নাসিম বড়াইগ্রাম থানার কাটাসকোল গ্রামের আল আমিনের ও সুরুজ হারোয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র। আহত ভ্যান চালক আবু তালেব (৪২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আবু তালেব লালপুর থানার ওয়ালিয়া গ্রামের মৃত আবু বক্করের পুত্র।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক জানান, গত ১৭ আগষ্ট রাত অনুমান ৮টার দিকে ভিকটিম আবু তালেব লালপুর থানাধীন ওয়ালিয়া বাজার থেকে চার জন যাত্রী (শনাক্তকৃত আসামি) নিয়ে বড়াইগ্রামের রামাগাড়ী বাজারে যাওয়ার পথে রামাগাড়ী এলাকার ফাঁকা মাঠ বাঁশের ঝাড়ের নিকট পৌঁছালে উক্ত ৪ জন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী ভিকটিমের উপরে অতর্কিত আক্রমণ করে। সে সময় আসামি সুরুজ ও নাসিম ভ্যান চালক তালেবের গলায় চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে তালেব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন ছিনতাইকারীরা উক্ত চার্জার ভ্যানটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরীফ আল রাজীবের নেতৃত্বে ও বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিকের পরিকল্পনায় ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামিরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং ছিনতাইয়ের পুংখানুপুংখ বিবরণ দেয়।
আসামিদের দেয়া তথ্যমতে ছিনতাইকৃত চার্জার ভ্যান ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। একজন আসামি পলাতক আছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।