নাটোরের বড়াইগ্রামে নিখোঁজের ৫ দিন পর শাহীন শাহ (৪০) নামের এক যুবকের মাটির নীচে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রেমিকার বাড়ির আঙ্গিনায় ১০ ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে লাশটি উত্তোলন করা হয়। পরকীয়া প্রেমের জেরে মোবাইল করে বাড়িতে ডেকে এনে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত শাহীন শাহ নাটোর সদর উপজেলার দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার আলী শাহ্র ছেলে।
তিনি নাটোর কোর্টে উকিলের মুহুরী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় প্রেমিকা জলন্দা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী হুসনেয়ারা খাতুন (৩২) কে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত চাচাতো ভাই আনোয়ার শাহ জানান, গত সোমবার থেকে শাহীন নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও না পেয়ে মঙ্গলবার তারা নাটোর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং নাটোর র্যাব ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে র্যাব ও পুলিশের যৌথ টিম জলন্দা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় হুসনেয়ারা খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির উঠানে গর্ত খুঁড়ে শাহীনের মুখ, হাত-পা বাঁধা এবং গলায় দড়ি লাগানো লাশ উত্তোলন করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক জানান, প্রেমের জের ধরেই এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এ ঘটনায় হুসনেয়ারা খাতুন নামের এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।