
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আরাফাত হোসেন সাকিব (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) আহত শিক্ষার্থীর বড় ভাই মোঃ ইসমাইল হোসেন (মাসুদ রানা) বাদী হয়ে হামলাকারী ১, মোঃ উজ্জ্বল বাদশা (২৫) পিতা- মোঃ মোস্তা মিয়া, সাং- কিশামতবানু বালাবাড়ী হাট, ২, মোঃ আশিকুর রহমান (২৪) পিতা- মোঃ মোখলেছুর রহমান, সাং- কিশামতবানু নালার পাড়, উভয় ডাকঘরঃ বালাবাড়ী হাট, উপজেলাঃ চিলমারী, জেলাঃ কুড়িগ্রাম। এই দুজনকে আসামী করে চিলমারী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, (১৪ জুলাই) শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় উপজেলার গাবেরতল বাজারে সাকিবের বড় ভাইয়ের ঔষধের দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার সময় বালাবাড়ী হাটের পূর্ব পাশে হারুন আনছারীর বসত বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার ফাঁকা যায়গায় পৌঁছা মাত্র রাস্তায় ওতপেতে থাকা অভিযুক্তরা সকিব কে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলো পাতারি ভাবে তাকে মারতে থাকে। এ সময় সাকিব জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মৃত জেনে ছেড়ে চলে যেতে থাকে।
কিচুক্ষন পর সাকিবের জ্ঞান ফিরে এলে আব্বা-আম্মা আমাকে বাচান বলে চিৎকার করতে থাকে। সন্ত্রাসীরা তার চিৎকার শুনে মারা যায়নি জানতে পেরে আবারো ফিরে এসে তাকে মার পিট করতে থাকে। এসময় পথচারিরা বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে পথচারিরা ও স্থানীয়রা আহত সাকিব কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দেয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় পরিবারের লোকজন এ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুরের আপডেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি করে পরীক্ষা নিরীক্ষা পূর্বক চিকিৎসা নেয় সাকিবের।
চিকিৎসক বলেছে সাকিবের দাঁতের চোয়াল ভেঙ্গেছে ও কয়েকটি দাঁত উপড়ে গেছে, সুস্থতা অনেক সময় সাপেক্ষ, তাই সাকিবকে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে সাকিবের চিকিৎসা নিচ্ছে তার পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিবাদীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সাকিবদের পরিবারের সাথে পূর্ব শত্রুতা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় কলেজ শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন সাকিবকে বেদমভাবে মারধর করে, হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরে। ওই সময় হামলাকারীরা শিক্ষার্থী শাকিবের কাছে থাকা ব্যবসার ২৫,০০০ টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
অভিযোগ আমলে নিয়ে সুষ্টু বিচারের দাবি জানিয়েছে সাকিবের বাবা আলহাজ এছাহক আলী সরকার।