দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আজ সোমবার (৩১ জুলাই) ভোর পাঁচটার দিকে নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ গুড়পট্টি এলাকায় ওই নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে সড়কে ফেলে যায় দৃর্বৃত্তরা।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গুরুত্বর আহত অবস্থায় বিএনপির এই নেতাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার কারণে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশও স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন অভিযোগ করে বলেন- আওয়ামী লীগের লোকজন রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরে কয়েক দফা মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছেন। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাবি, বিএনপির অভ্যান্তরীণ কোন্দল থেকে এই হামলা হতে পারে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দলের উচ্চপর্যায়ের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার সকাল ৯টায় শহরের আলাইপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সমাবেশে অংশ নিতেই বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে চকবৈদ্যনাথ গুড়পট্টি এলাকায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত লাঠি ও রড নিয়ে তার ওপর হামলা চালান। এসময় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে সড়কে ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা রহিম নেওয়াজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছ- বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের ওপর হামলার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভেতর অবস্থান নেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
এঘটনায় জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, রহিম নেওয়াজ জনসমাবেশ সফল করার জন্য ভোরে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন। রহিম নেওয়াজের গতিপথ দুর্বৃত্তদের আগে থেকেই জানাছিল। হত্যার উদ্দেশ্যেই বিএনপির এই নেতাকে মারধর করা হয়েছে।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সকালে জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীরা অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বিএনপি আপাতত জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তারা আহত নেতা রহিম নেওয়াজের চিকিৎসা নিয়ে ব্যাস্ত আছেন।
নাটোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, হামলার সময় আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন না। দলের অভ্যান্তরীণ কোন্দোলের কারণে বিএনপির লোকজনই এই ঘটনা ঘটাতে পারেন। কথিত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি শহরে উত্তেজনা সুষ্টি করতে তারা তা প্রতিহত করবেন।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, বিএনপি নেতার ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এবং বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। তবে হামলাকারী শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।