
ফাঁসির আসামী- ছবি মুক্ত প্রভাত
রাজশাহী কারাগারের আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। এর মধ্যে পযাপ্ত সংখ্যক জল্লাদ ফাঁসির মহড়া শেষ করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় আসামি. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সম্পন্ন করেছে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ।
দীঘ ১৭ বছর পরে এই মামলার আজকে সুরহা হতে যাচ্ছে।এতাদিন ধরে আসামী পক্ষ বিভিন্ন আদালতে এই মামলায় রায় পরিবর্তন বা দন্ড মওকুফের আবেদন করে যাচ্ছিলেন। সকল আদালতে আসামীদের পিটিশন খারিজ হয়ে মামলায় ফাঁসির দন্ড বহাল থেকেছে।
এই মামলায় সরাসরি আইনজীবি হয়ে কাজ করেছেন অধ্যাপক ড.তাহের আহমেদ এর মেয়ে আইনজীবি সেগুফতা তাবাসুম আহমেদ।বাবার হত্যাকান্ডের বিচারের জন্য আইনজীবি হয়ে হত্যাকান্ডের সুবিচার নিশ্চিত করে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।
আজ রাত ১০ টা ১ মিনিটে ফাঁসির কার্যকর সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকটি সূত্র। এই মামলাটির সুরহার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও নিহতের পরিবার রাষ্ট্রপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই মঙ্গলবার দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যরা আসামীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মরদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।