উল্লাপাড়ায় বৃহস্পতিবার সাদিয়া পারভীন (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রী গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চৌপাকিয়া গ্রামের আব্দুলজব্বারের মেয়ে। সাদিয়া উল্লাপাড়া তা-মীম ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক ও হাসপাতালের ল্যাব সহকারি 

হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি সাদিয়া সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে স্নাতক (পাস) ২য় বর্ষের ছাত্রী হিসাবে লেখাপড়া করছেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। সাদিয়া উল্লাপাড়া কলেজ পাড়ায় একটি মহিলা মেসে থাকতেন। মেসে তার কক্ষেই ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

তা-মীম ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাতুল ইসলাম জানান, সাদিয়া তার হাসপাতালে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করতেন। মাঝে মাঝে ১/২ দিন করে ছুটি নিয়ে তিনি কলেজে ক্লাস করতেন।

বুধবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে প্রতি দিনেরমত সাদিয়া মেসে ফিরে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আর হাসপাতালে আসেননি। বেলা ১০টার পর খেঁাজ নিয়ে জানা যায় সাদিয়া মেসে তার কক্ষে আত্মহত্যা করেছেন। 

উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তৈবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তারা বেলা দুই টার দিকে সাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন এখন পর্যন্ত তা জানা যায়নি। সাদিয়ার মেসের অপর মেয়েরাও এ বিষয়ে কেউ কিছুই বলতে পারেননি বলে জানান এই উপ-পরিদর্শক।

সাদিয়ার মা সাবিনা ইয়াসমিন খবর পেয়ে উল্লাপাড়ায় কলেজ পাড়ার মেসে ছুটে এসেছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও তার মেয়ের আত্মহত্যার কোন কারণ বলতে পারেননি।