
আত্মসাতের অভিযোগ পত্র
নওগাঁর বদলগাছীতে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের আদি/বর্গার অসুস্থ গরু মালিককে না জানিয়ে জবাই করে মাংস বিক্রি করার বিচার করতে এসে গরুর মালিকের অংশের টাকা আত্মসাত করলেন আধাইপুর ইউপি সদস্য আশরাফুল।
অভিযোগ সূত্রে গত ১৭ই মার্চ শুক্রবার সকাল ৯টায় বদলগাছীর আধাইপুুর ইউপির আধাইপুর দেবনাথপাড়ায় গরুর মালিককে না জানিয়ে গরুর বর্গাদার রাজ্জাক অসুস্থ গরুর চিকিৎসা না করে গরুটিকে জবাই করে মাংস বিক্রি করে দেয়।
গরু জবাইয়ের খবর পেয়ে গরুর মালিক শ্রীমতি অহুল্লাহর স্বামী হৃদয় কানাই এ ব্যপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুলের নিকট অভিযোগ করলে ১৯শে মার্চ রাজ্জাকের বাড়ীতে এ নিয়ে একটি বিচার বসায়।
মাংস বিক্রির টাকার রফাদফা করতে স্থানীয় মহিলা মেম্বার এর স্বামী শ্রী সত্তীনের যোগসাজশে মালিক আর আদিওয়ালার/বর্গাদারের কাছ থেকে ফাঁকা কাগজে সাক্ষর ও নেয় আশরাফুল মেম্বার।
১৭হাজার টাকা বিক্রি হয় অসুস্থ গরুর মাংস। মাংস বিক্রির (একভাগ) ৪হাজার টাকা বর্গাদার/আদিওয়ালার, ১ হাজার টাকা মেম্বার এর উন্নয়ন ফি (চাঁদা), মূল মালিকের (তিনভাগ) অর্থাৎ ১২হাজার টাকা গরুর মালিকের শ্রীমতি অহুল্লাহার। কিন্তুু সুকৌশলে মূল মালিকের ১২হাজার টাকা আশরাফুল মেম্বার এর পকেটে ঢুকে গেলো।
টাকা চাইলে আশরাফুল মেম্বার দিতেছি,দিবো বলে তালবাহানা করতে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে শ্রীমতি অহুল্লাহ গত ৩০শে মার্চ এ ব্যপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে রাজ্জাকের স্ত্রী বলেন গরুর অবস্থা গুরতর হওয়ায় বাধ্য হয়ে গরুটি জবাই করেছি। এ ব্যপিরে গরূর মালিককে জানানো হয় নি। পরে মেম্বার বিচার করে।গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে মোট ১৭হাজার টাকা।
এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের ফি ১হাজার টাকা। বাকী টাকা ৪ভাগ করে এক ভাগ আমাদের দিয়েছে ঔ বাকী ৩ভাগ টাকা গরুর মালিকের। সেই টাকা মেম্বারের কাছে রয়েছে।
এ ব্যপারে শ্রীমতি অহুল্লাহ বলেন, আমার আদি দেওয়া গরুকে রাজ্জাক ঠিকমতো চিকিৎসা না করে আমাকে না জানিয়ে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করেছে। আমার গরু সুস্থ হলে গরুর দাম প্রায় ৪০হাজার টাকা।
ঐ চটি মেম্বারকে জানালে বিচার করে আমার টাকা নিজের পকেটে রেখেছে। আমাকে আজ দিবো কাল দিবো বলে ঘুরাচ্ছে।আমি এর বিচার চাচ্ছি। এ ব্যপারে সত্যেন বলেন, বিচার করে গরুর টাকাটা আশরাফুল মেম্বারের কাছে আছে।
মেম্বারের কিছু টাকা খরচ হয়েছে। কয়েক দিন সময় নিয়েছে টাকাটি দিয়ে দিবে। এ ব্যপারে অভিযুক্ত আশরাফুল মেম্বার বলেন, গরুর টাকা ঐ দিন না নেওয়ায় আমার কাছেই থাকে। আমি মহিলা মেম্বারের স্বামী সত্যেনের কাছে দিতে চাইলে আমার কাছেই রাখতে বলেন। টাকাটা আমার কাছেই আছে আমি পরে দিয়ে দিবো।
আধাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল কবির পল্টন বলেন, এটা দুঃখজনক ঘটনা, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ ব্যপারে বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, এ ব্যপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।