শিবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন সোনামসজিদ এলাকায় সরকারী খাস জমির উপর গড়ে ওঠেছে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। এমনকি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সরকারীভাবে নির্মিত যাত্রী ছাউনি। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে চলছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
শাহাবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সোনামসজিদ এলাকার এক নম্বর খাস খতিয়ানের ৪৭২ নং দাগের রাস্তার ২৫ শতক ও ৪৭৩ নং দাগের পাঁচ একর ৪৯ শতক জমির ওপর থাকা পুকুর পাড় দখল করে প্রায় স্থায়ী ভাবে ১৫/২০টি দোকান ঘর, হোটেল ও কয়েকটি বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। তার মধ্যে কোন কোন দোকান ঘর প্রায় ৪০ বছরের পুরানো।
আবার কিছু কিছু নতুন দোকান নির্মিত হয়েছে। তাতে পুকুর পাড় ও রাস্তা মিলে কয়েক বিঘা জমি বর্তমানে বেদখল হয়ে আছে। সরজমিনে গত শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দা আবু বাক্কার পুকুর পাড়ে রাস্তার জমি দখল করে নতুন করে স্থাপণা অর্থাৎ দোকান ঘর নির্মান করছে।
তার সামনে যাত্রী ছাউনির আংশিক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তার দক্ষিণ পাশে আরো একটি স্থায়ী ভাবে দোকানঘর নির্মানের কাজ প্রায় শেষ করেছে। যাত্রী ছাউনির উত্তরে একটি হোটেল ও আরো কয়েকটি স্থায়ী দোকান ঘর নির্মান করা হয়েছে।
তার উত্তরে কয়েকটি বাড়ি আছে। নতুন করে দোকানের মালিক (যিনি যাত্রী ছাউনির আংশিক ভেঙ্গেছেন) আবু বাক্কার জানান আমি যাত্রী ছাউনি ভাঙ্গেনি। শুধু আবর্জনা পরিস্কার করে বসার উপযোগী করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন গরীব মানুষ। প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানেই কাঠের দোকান তৈরী করে দোকানদারী করে আসছিলাম। কাঠের দোকানটি ভেঙ্গে যাওযায় ছোট করে ইট দিয়ে দোকান ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেছি। বাকী দোকানদারদের প্রায় একই ভাষ্য।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মহিলা সদস্য শিল্পী বেগম জানান, খাস জমির ওপর কয়েকজন গরীব মানুষের দোকান ঘর ও কয়েকটি বাড়ি আছে। তারা অনেকদিন থেকে বসবাস ও দোকানদারী করে আসছে।
এব্যাপারে শাহাবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ফয়েজ উদ্দিন জানান,আমি বারবার দোকন ঘর সরাতে নোটিশ দিয়েছি ও নতুন করে দোকান ঘর তৈরী করতে নিষেধ করেও তারা শুনেননি।
এমনকি যাত্রী ছাউনিটি পুনু:রায় মেরামত করার জন্য আবু বাক্কারকে বলেও কর্ণপাত করেননি। যা আমি সহকারী কমিশনারর(ভূমি) মো: তৌফিক আজিজকে জানিয়েছি। অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো: তৌফিক আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।