নেপালের সংসদে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেস লেখক পদত্যাগ করেছেন। সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করার পর তিনি সোমবার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই। তবে বিক্ষোভকারীদের দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সরকারি দুর্নীতি এবং সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন শহরের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করেছে।
এক প্রতিবেদনে কাঠমান্ডু পোস্ট এসব তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহত বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সাতজনকে জাতীয় আমার সেন্টারে আনা হয়েছিল। তবে তারা মারা গেছেন। বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালে আরো তিনজন মারা গেছেন।
আরো দুজন মারা গেছেন শহরের সিভিলস হাসপাতালে। মহারাজগঞ্জের কেএমসি ও ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে একজন করে মারা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি।
ক্রমা সেন্টারের রুপানডে বলেন, অন্তত ১৩ জনের অবস্থা গুরুত্ব। আহতদের বুকে মাথায় গুলি লেগেছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএসএন আরও বেশি আহত ব্যক্তি।
বানেশ্বর এভারেস্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা অনিল অধিকারী বলেন, বিক্ষোভ আহত হয়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুই খুব কারীদের ওপর জল কেমন কাঁদানি গ্যাস এবং তাজা গুলি ব্যবহার করেছে দেশটির পুলিশ। বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে।
সরকার বলছে, ফিরাতে কারফিউ জারি রয়েছে।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য আগে থেকে ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেট ভেঙে করতে থাকে। এর এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।
মূলত ব্যাপক দুর্নীতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ২৬ টি অনিন্দিত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।