২৫ জুন, ২০২৩

পশুর হাটে ক্রেতা কম, তবুও কমছে না গরুর দাম

পশুর হাটে ক্রেতা কম, তবুও কমছে না গরুর দাম

প্রতিবছরের তুলনায় এবছর প্রায় ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ছে কোরবানির পশুর হাটে। প্রতিবছর এসময় ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর হয়ে উঠতো রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাটগুলো। কিন্তু এবছর এর ভিন্ন চিত্র লক্ষ করা যাচ্ছে। 

এবছর গরুর সরবরাহ বেশী হলেও ক্রেতার সংখ্যা একদমই কম। যা বরাবর হতাশ করছে গরু বিক্রেতাদের। ক্রেতা কম হলেও দামের দিক থেকে কোন ছাড় দিতে নারাজ গরু বিক্রেতারা। তারা বলছেন, তাদের বেশী দাম হাকানো কারন তা হলো গবাদি পশুর খাদ্যের দাম। গেল বারের তুলনায় প্রায় তিনগুন বেড়েছে গোখাদ্যের দাম। যার কারনে ক্রেতা কম হলেও দামে দমছে না তারা। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন হাটঘুরে প্রায় এক চিত্র চোখে পড়ে। 

বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ওই হাটে গত বছর ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর (৩ থেকে ৫ মণ) মণপ্রতি দাম ছিল ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকা এবং বড় গরু (৫ মণের উপরে) মণপ্রতি ২৬ থেকে ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরু মণপ্রতি ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকায়। 

ব্যাপারীরা আরও জানিয়েছেন, দামের কারণে এ বছর ছোট গরুর চাহিদা বেশি। এখন যারা হাটে আসছেন, তারা ছোট গরু কিনছেন। এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুর চাহিদা বেশি। ছোটগুলোর মধ্যে আবার দেশি জাতের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর বড় গরুর ক্রেতা তুলনামূলক কম।

অফতাব নগরে গরুর আমদানি বেশি থাকলেও এখনও ক্রেতার খুব একটা ভিড় নেই। গরুর দাম বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অধিকাংশরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেখানে খুব বেশি ক্রেতা দেখা মেলেনি।

যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই দর্শনার্থী। তবে সময় আছে বলে এখনও হতাশ হচ্ছে না কেউই। সরকারি ছুটির পর চাহিদা ও ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদী ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাট মালিকরা।