টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবারো খুলে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে, বাওয়ালী ও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হবে সুন্দরবন।
বুড়িগোয়ালিনী এলাকার ট্রলার মালিক নূর ইসলাম জানান, ৩ মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঋণের বোঝা টানতে হবে। সুন্দবনে যাওয়ার পাসপারমিট ছাড়ার পর টাকা আয় করে তা দিয়ে সমিতির ঋণের টাকা শোধ করবেন বলে জানান তিনি।
দাতিনখালি গ্রামের জেলে জাহাঙ্গীর সানা জানান, সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ থাকায় গত তিন মাস বেশ কষ্টে কেটেছে। সুদ করে টাকা নিয়ে সংসার চালাতে হয়েছে। এখন পরিশোধের পালা।
সুন্দবনের উপর নির্ভরশীল একাধিক জেলে জানান, সুন্দরবনের ১০০ ভাগের মধ্যে ৫২ ভাগ অভয়ারণ্য। খোলা আছে আছে ৪৮ ভাগ। বাকিটা উন্মুক্ত করতে হবে। কারণ সুন্দরবনের যে জায়গাগুলো উন্মুক্ত সেখানে দুই থেকে তিন হাজার জেলে-বাওয়ালী মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করে। এ জন্য চালান উঠানো দায় হয়ে যায়।
টানা ৩ মাস সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ থাকে। কিন্তু এই সময়ে কিছু অসাধু চক্র বিষ দিয়ে মাছ শিকার এবং ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে। যার বেশির ভাগই অভয়ারণ্যে ঘটে থাকে। কিন্তু বনবিভাগের নজর নেই সেদিকে।
বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে, বাওয়ালী ও পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে। এরই মধ্যে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনে মোট ২ হাজার ৯৭০ টি পাসপারমিট নবায়ন করা হয়েছে। নবায়নকৃতরা রাজস্ব দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন।