কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেছেন শিক্ষার্থীরা

কম্বাইন ডিগ্রির দাবি পূরণ না হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বাকৃবি) উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেছেন দুটি অংশদের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদ জয়নুল আবেদীন মিলনায় তুমি তাদের অবরুদ্ধ করে শালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা ছয়টায়ও শিক্ষকেরা অবরুদ্ধ ছিলেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন ও ভেটেনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রীর ঢাবিতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বেলা ১১ টায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে এই সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রী চালুর পাশাপাশি পশুপালন ও ভেটেনারি ডিগ্রিও চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে মোট তিনটি ডিগ্রী চালু রাখার সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন না পশু পালন ও ভেটেনারি অনুসূদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একাডেমিক কাউন্সিলের সভার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের দুই শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। অবশেষে তিন ডিগ্রির সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয়া হলে এক পেশায় এক ডিগ্রীর দাবিতে মিলনের কোলে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক একে ফজলুল হক ভূঁইয়াসহ শিক্ষকেরা।

কমেন্ট ডিগ্রী চালু দাবি করুন না হয় উপাচার্যসহ 20 শতাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেন পশু পালন ও ভেটেনারি অনুসারে শিক্ষার্থীরা 

‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’ চালুর দাবি পূরণ না হওয়ায় উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেন পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, পশু পালনও ঘেটেরায় অনুষদের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সর্বসম্মতিক্রমে কম্বাইন ডিগ্রীর দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। দিন কাউন্সিলের আবেদকে প্রধান করে একটি চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে, যারা কম্বাইন্ড ডিগ্রির জন্য কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন করবে। আগামী সেশন থেকে কম্বাইন করছে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এবার যারা ভর্তি হয়েছে তাদের অপশন থাকবে তারা চাইলে ভেটেনারি, পশুপালন বা কম্বাইন নিতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অনুষদকে এক করতে পারবেন না। 297 মিলিতভাবে কম্বাইন ডিগ্রী দেবে এবং ধারাবাহিকভাবে ২৬ থেকে ডিন হবে।

কম্বাইন ডিগ্রীর  দাবিতে ২৫ জুলাই থেকে নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে অংশ নেয়া পশু পালন অনুষদের তৃতীয় বার্ষিক শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বলেন, 'আমাদের দাবি ছিল একটা ডিগ্রী এবং সেটি হলো কম্বাইন ডিগ্রি। শিক্ষক বৃন্দের এই সিদ্ধান্ত আমাদের দাবিকে পূরণ করে না। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।'

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর মীরা বলেন, 'টানা ৩৬ দিন ধরে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের এই আন্দোলন চলছে । আমরা দেখছি যেন সব জায়গায় চাকরি ক্ষেত্রে কম্বাইন ডিগ্রীর প্রাধান্য পাচ্ছে। তোরা এখন যে তিনটা ডিগ্রি রাখতে চাইছেন তাতে ভবিষ্যতে সমস্যা আরো বাড়বে। আমাদের একটাই কথা যে এক পেশায় এক ডিগ্রি থাকবে।'