৩১ আগস্ট, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো সংঘর্ষ, সহ-পচার্যসহ আহত ১০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো সংঘর্ষ, সহ-পচার্যসহ আহত ১০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। দেড় ঘন্টা মুখোমুখি অবস্থানের পর আজ রোববার দুপুর বারোটা পাঁচ মিনিটের দিকে ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন ঝগড়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ইটের আঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ কামাল উদ্দিন সহ অন্তত দশ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১২ টার দিকে এক প্রান্তে কয়েকশো শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। বিপরীত দেখেছিলেন এলাকাবাসী। পক্ষেই পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময়সহ প্রচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামিমুদ্দিন খান, মোঃ কামাল উদ্দিন, ডক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ সহ শিক্ষকরা দুই পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে মধ্যে ইস্পাত খেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ইটের আঘাতে আহত অবস্থায় অন্তরের শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। তবে ঘটনাস্থল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। 

এর আগে গতকাল রাত ৬ বারোটা থেকে আজ রোববার ভোর চারটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে । বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের পর এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন। পড়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সোনার বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সহ উপাচার্য মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এতগুলো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রত্যয় ও পুলিশের তিনটি জার্মান ভেঙেছে। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেটের কাছে একছাত্রী একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। গতকাল দিব গত রাত বারোটার দিকে তিনি ওই ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে দারোয়ানের সঙ্গে তার তর্ক হয়। এক পর্যায়ে ভবনের দারোয়ান তাকে মারধর করেন। এ সময় দুই নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ান কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তোর শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তখন সংঘর্ষ পাল্টাপাল্টি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয় লোকজন মাইকে লোক জড়ো করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ঝামেলায় জড়িয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ঘর বাড়ি।