২৮ আগস্ট, ২০২৫

বিধি লঙ্ঘন করে মসজিদের পাশে করাত কল স্থাপন, তদন্তে বিভাগীয় টিম

বিধি লঙ্ঘন করে মসজিদের পাশে করাত কল স্থাপন, তদন্তে বিভাগীয় টিম

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালী সরকারপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের পাশে স্থাপিত আকন্দ “ছ” করাত কলের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে প্রধান বন সংরক্ষক, ঢাকা বরাবরে লিখিত আবেদন করার পর রংপুর বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত কার্য সম্পন্ন করেন।

তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা বন কর্মকর্তা এ.এইচ.এম শরীফুল ইসলাম মণ্ডল এবং সাঘাটা উপজেলার পরিবেশ ও বন বিভাগ কমিটির সদস্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান।

অভিযোগে বলা হয়, করাত কল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী মসজিদ, মাদ্রাসা বা জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার দূরে করাত কল স্থাপন বাধ্যতামূলক হলেও আকন্দ “ছ” মিলটি মসজিদ থেকে মাত্র ৩২ মিটার দূরত্বে অবস্থিত। এছাড়া করাত কলটির পাশেই রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের বসতবাড়ি।

অভিযোগকারীরা আরও জানান, ২০২৩ সালের ৬ জুন করাত কল স্থাপনে বাধা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি ২০২৪ সালের ৫ মে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনও রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, তাতেও ব্যবস্থা হয়নি। বরং অভিযোগ দায়েরের পর জেলা বন কর্মকর্তা ২০২৫ সালের লাইসেন্স (নং-১০/২০২৫) নবায়ন করেছেন এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “মিলের শব্দদূষণে আমরা স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারছি না। মসজিদের পাশেই মিল চালু রাখা আইনবিরোধী। তাই সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

এ বিষয়ে করাত কলের মালিক আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, “আমি নিয়ম মেনে লাইসেন্স নিয়েই মিল পরিচালনা করছি।”

রংপুর বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে অবিলম্বে করাত কলের লাইসেন্স বাতিল করে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করার দাবি জানানো হয়েছে।