২৭ আগস্ট, ২০২৫

বাঁশ কাটা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষ

বাঁশ কাটা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষ

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় জোরপূর্বক বাঁশ কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদক বিক্রেতা সাব্বিরের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে চাচাতো ভাই মহিন উদ্দিন।

তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো হাঁসুয়ার ৫ থেকে ৭ টি কোপে অচেতন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পানজা লড়ছেন।২৫ আগস্ট (সোমবার) বিকাল ৪ টার দিকে ঝালুকা ইউপির কুহাড় গ্রামে সাজীপাড়া এই মারামারি এই ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, সাব্বির নির্মাণাধীন একটি ইয়াতিম থানা থেকে ইট চুরি করে ঘর নির্মাণ করছিলেন বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে জরিমানা করে। ঘটনার দিন ঘরটির চালা নির্মাণের কাজ চলছিলো।

এতে পাশে থাকা মহিন উদ্দিনের বাঁশ বাগান থেকে বিনা অনুমতিতে প্রায় ৮ টি বাঁশ কেটে নিয়ে নির্মান কাজ করতে থাকে। মহিন উদ্দিনের মা ময়না বেগমের সাথে সাব্বিরের দাদী হাসনা বেগমের সাথে তুমুলঝগড়া বাঁধে। এরই সুত্র ধরে মহিন উদ্দিন বাড়িতে এলে তাঁকে সাব্বিরে পিতা নয়নাল চেপে ধরে ও সাব্বির দুই হাতে দুটি হাঁসুয়া নিয়ে এলোপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়ির উঠানে ফেলে যায়।

এলাকাবাসী উদ্ধার করে রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাথায় ,হাতে ,পিঠে ,গভীর জখমের সৃষ্টি হয়েছে।এলাকাবাসী সুত্রে আরও জানাযায়, সাব্বির নিয়মিত মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টা ট্যাবলেট সেবন ও বিক্রি করতেন। হত্যার চেষ্টার পরে সাব্বির ও তার বউ বিভিন্ন জনকে ফোন দিয়ে সাক্ষী দিলে 
কোপানোর হুমকি দিচ্ছেন।

সাব্বিরের বাড়িতে কাজে আসা টিন মিস্ত্রি হুমায়ুন জানান,দুপুরে মহির উদ্দিনের মা আমার বাড়িতে গিয়ে বলে,আমাদের বাঁশ জোর করে কেটে ঘর বানাচ্ছে আপনি একটু মানা কইরেন। কাজে ফিরে দেখি মহির উদ্দিনকে কুপিয়ে উঠানে ফেলে রেখেছে।

প্রত্যক্ষ দর্শী জয় জানান,আমি দোকান খুলতে এসে দেখি, সাব্বিরের বাপ নয়নাল ধরে ছিলো, সাব্বির দুই হাতে হাঁসুয়া দিয়ে মহির উদ্দিনকে কোপাচ্ছিল। ভয়াবহ দৃশ্য দেখে প্রাণভয়ে পালিয়েছি আমি।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেলে জমিজমা ও বাঁশ কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। গতরাতে এনিয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যার চেষ্টার এজাহার দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।