শহিদুল ইসলাম ভুম্বু নামের এক চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অস্ত্র হাতে দলবল নিয়ে ওই হামলা চালানো হয় গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে। ডাকাতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় লোকজন।
ডাকাতির ঘটনায় ভাঙচুরের পাশপাশি একটি মোটরসাইকেল, নগদ ৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে পাশর্^বর্তী সিংড়া উপজেলার বিলদহর এলাকার আব্দুল করিম, রিপন হোসেন, খাইরুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, বাবুর বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি ভুম্বুর স্ত্রী তানিয়া আখতার। এই মামলায় গুরুদাসপুরের বিলহরিবাড়ি গ্রামের আলমগীর হোসেন, আতিরকুর রহমান, রিপন আলী, যোগেনদ্রনগরের বদর উদ্দিনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম ভুম্বু বলেন, ‘অভিযুক্তরা ডাকাত। তারা হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি। একটি পুকুরের মাছচাষকে কেন্দ্র করে প্রায়ই আমার কাছে চাঁদা চাইতেন আব্দুল করিমরা। তিনি আমি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় অব্যহতভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিলেন অভিযুক্তরা। সবশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে অন্তত ৫০ জনের একটি দল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায় আব্দুল করিম ও তার লোকজন। এতে একটি এফজেড-১৫০ সিসি মডেলের মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলা হয়। ভাঙচুর করা হয় ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র। এছাড়া মাছ বিক্রির ৭ লাখ টাকা লুটে নেওয়ার পর আরওয়ান-৪ভি মডেলের একটি মোটরসাইকেলও নিয়ে যান ডাকাতেরা। হাতে অস্ত্র থাকায় আমার স্ত্রী ও প্রতিবেশিরা ডাকাতদের সামনে যেতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, ভুম্বুর স্ত্রী মামলার বাদি তানিয়া আখতার বলেন, ডাকাতদের হাতে পিস্তলসহ বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র ছিল। বৃহস্পতিবার হামলার সময় তিনি বাড়ির ভেতরেই ছিলেন। ডাকাতরা তার স্বামী ভুম্বুকে হত্যার উদ্দেশে খুঁজছিলেন। না পেয়ে বাড়িঘর আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছেন। তারও শ্লীলতাহানিও করেছেন অভিযুক্ত ডাকাতেরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুল করিম বলেন, শহিদুল ইসলাম ভুম্বু এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। কয়েকদিন আগেও যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ভুম্বু। গুরুদাসপুরের যোগেন্দ্রনগর ও সিংড়ার বিলদহর পাশপাশি এলাকা হওয়ায় ওই এলাকায় মাদকের ব্যপক বিস্তার ঘটিয়েছেন ভুম্বু। এনিয়ে ভুম্বুকে বার মানা নিষেধ করলেও ভুম্বু বিএনরি দলীয় দাপট দেখান। একারণে বৃহস্পতিবার ভুম্বুর বাড়িতে গিয়ে হালকা শাসিয়ে এসেছেন তারা। তবে ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ মিথ্যা।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসমাউল হক বলেন, ভুম্বুর স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগটি তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও শুরু করা হয়েছে।