ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নেকমরদহাটে কুলি শ্রমিকের নামে তোলা হয় চাদাঁ। রোববার নেকমরদ সাপ্তাহিক হাট গিয়ে দেখা যায়, নেকমরদ হাটের সামনে মহাসড়কে দাড়ানো গরু ভর্তি শ্যালো মেশিন চালিত ভটভটিগুলো থেকে দুই সড়কের দুই মোড়ে দুজন যুবক ভটভটিগুলো থেকে তুলছেন চাঁদা।
চাদার টাকাটা কিসের তোলা হচ্ছে জানতে চাইলে আলমগীর নামে যুবক বলেন,কুলির টাকা তোলা হচ্ছে। প্রত্যেক গরু থেকে ১০ টাকা হারে টাকা তোলা হয়। তবে তারা কুলির নামে টাকা তুললেও কুলির কাজটি তারা করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুধুমাত্র কুলি শ্রমিকের নাম ব্যবহার করে বাধ্যতামুলক ভাবে ভটভটি চালকের কাছে গরু প্রতি দশটাকা হারে টাকা তুলা হয়।
জানতে চাইলে ভটভটি চালক শিমুল ইসলাম বলেন, হাট থেকে গরু তারাই গাড়ীর কাছে নিয়ে আসেন। তারাই আবার গাড়ীতেও তুলেন। কিন্তু মহাসড়ক দিয়ে হাটের এলাকা পার হওয়ার সময় কুলি শ্রমিকের নামে এক যুবক ৫টি গরু থেকে বাধ্যতামুলক ৫০ টাকা নিয়ে নিলেন।
গরু কিনতে আসা লোকমান আলী বলেন, একটা নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে কুলি শ্রমিকের নামে টাকা তোলাটা। তারা কোন কাজ করছে না সড়কে দাড়িয়ে গাড়ী আটকিয়ে জোর করে টাকা তুলছে। আরেক ভটভটি চালক ইমরান আলী বলেন, গরু প্রতি দশ টাকা না দিলে গাড়ী আটকিয়ে রাখে তারা।
তখন বাধ্য হয়ে তাদের টাকা দিতে হয়। হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের অভিযোগ,কুলিরা যদি হাটে গরু নেওয়া আসা করে তবেই টাকাটা বৈধ হয় কিন্তু তারা গরুটার দড়িটাও ধরছে না। সাহেবের মত রাস্তায় দাড়িয়ে জোরকরে টাকা তুলছেন। তারা এই চাদা তোলা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
চাদা তোলা আলমগীর বলেন, কুলি শ্রমিকের নামে টাকা তোলা হয়। এটা বিগত কয়েক বছর থেকে তোলা হয়। কেউ কখনো বাধা দেয়নি। আলমগীরকে কুলির কাজ না করে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রশ্ন করলে সে উত্তরে বলেন, কেউ ডাকলে আমরা যায়। না ডাকলে কিভাবে যাবো।
তাই সড়কে দাড়িয়ে কুলি খরচ বাবদ প্রত্যেক গরুপ্রতি দশ টাকা নেওয়া হয়। সে জানাই সারাদিনে প্রায ৬শত গরু ক্রয় বিক্রয় হয়। এতে দশ টাকা হারে সারাদিনে ৬ হাজার টাকার মত গরু থেকে কালেকশন হয়। এছাড়াও ধানের গাড়ী ছাগলের গাড়ী ইত্যাদি পণ্যের উপরে তো একটা টাকা তোলা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, হাটে এ ধরনের টাকা তোলা হচ্ছে বিষয়টি ওসিকে দেখার জন্য বলা হয়েছে।