জুলাই বিপ্লব কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নয়, এটি ছিল গোটা জাতির স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে এই দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। গণআন্দোলনের ফলেই ফ্যাসিবাদী, খুনি শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা সম্ভব হয়েছে।
এখন মানুষ মুক্তভাবে কথা বলতে পারছে। মঙ্গলবার সকালে ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আয়োজিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা গণআন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, তাদের জাতীয় বীর ঘোষণা করতে হবে। নিহতদের পরিবারে কমপক্ষে একজনকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
ভারতের হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের রাজনীতি এদেশে চলতে দেওয়া হবে না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশে দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, হত্যা, গুম, খুন ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ হয়নি।
সাধারণ মানুষের ভাগ্যেরও কোনো পরিবর্তন আসেনি। জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, মানবিক ও ইসলামিক কল্যাণরাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক আব্দুল বারী'র সঞ্চালনায় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ শাহিনুর আলম, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলি, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম, সলঙ্গা থানা জামায়াতের আমীর রাশেদুল ইসলাম শহিদ , শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিরাজগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি সোলায়মান হোসেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, পৌর জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম, উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আশরাফুল আলম মুত্তালিব প্রমুখ।