৫ আগস্ট, ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্রে কী থাকছে সেদিকে নজর বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর

জুলাই ঘোষণাপত্রে কী থাকছে সেদিকে নজর বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এসে ঘোষণা করা হচ্ছে বহুল আলোজি জুলাই ঘোষণাপত্র। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাবেশে এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এই জুলাই ঘোষণাপত্রে কী থাকছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দুলগুলোর পাশাপাশি সচেতন নাগরিক সমাজের আগ্রহ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এ কর্মসূচিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। এর ফলে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও পলায়নের বর্ষপূতির এই দিনে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়ের ওপর সব মহলের দৃষ্টি রয়েছে।

বিশেষ করে বিএনপি. জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলগুলো, যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণা ও নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিকভাবে খুবই ক্রিয়াশীল।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা ও কয়েক দফায় চিঠি চালাচালির মধ্য দিয়ে সরকার গণ-অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে একটি জাতীয় সনদ ও জুলাই ঘোষণঅপত্র তৈরি করেছে। এর মধ্যে আজ সোমবার ঘোণাপত্র করা হবে। এই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার আগে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এর খসড়া পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে বিএনপি খসড়া ঘোষণাপত্রের কিছু সংশোধনী দলীয়ভাবে চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। দলগুলোর মতামত দেখেই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানের প্রস্তাবনা ও তফসিলে সংযুক্ত করার কথা খসড়ায় উল্লেখ করে সরকার। জামায়াত, এনসিপিসহ কোনো কোনো রাজনৈতিক দলেরও এ দাবি ছিল। কিন্তু বিএনপি তাতে রাজি হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপি চূড়ান্তভাবে চব্বিশের ছাত্র-অভ্যুত্থানের উপযুক্ত রাষ্টীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানে সম্মত হয়েছে। তারা এ ঘোষণাপত্র সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে সন্নিবেশিত করার বিষয়ে একমত হয়েছে, এর বেশি নয়।

সরকারি একটি সূত্রে জানা গেছে, সরকারে পাঠানো খসড়ার ওপর কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার সংযোজন এবং শব্দগত পরিবর্তন এনে দলীয়ভাবে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে সরকারকে দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, সরকারের পাঠানো জুলাই ঘোষণাপত্রের ২৬ দফা খসড়ায় প্রথম দফায় উল্লেখ ছিল, ‘এই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরাশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে জাতীয় মুক্তির জন্য রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।’

এই দফায় বিএনপি গণপ্রতিরোধ গড়ে, ‘১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করে’ শব্দগুলো যুক্ত করে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের খসড়া ঘোষণাপত্রে প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ার মতো বিষয় ছিল। আমরা বলেছি, এই জাতি শুরুই হলো ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। তাকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উপস্তাপন করতে হবে, তারপরে জাতীয় জীবনে সংঘটিত অন্যান্য ঘটনাবলি। সেখানে তারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চকে সঠিকভাবে উল্লেখ করতে চায়নি বা দেয়নি। সেটা আমাদের আপত্তি ছিল এবং আমরা সেটা অন্তর্ভুক্ত করে পাঠিয়েছি সরকারের কাছে।’

সরকারের খসড়া চতুর্থ দফায় স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী সরকারের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিপরীতে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাকশাল নামে সাংবিধানিকভাবে একদীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে ...’ উল্লেখ করা হয়।

সরকারের খসড়া অস্টম দফায় বিগত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারে দুঃশাসন, পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বরে গণহত্যার মতো আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করা হয়। সেখানে বিএনপি প্রস্তাবে পিলখানা ট্যাজেডি, শাপলা চত্বরে গণহত্যা উল্লেখ করা হয়নি।

সরকারের খসড়ার ১৭তম দফায় ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নারী শিমুসহ প্রায় দুই সহস্র মানুষকে নির্বিচারে হত্যার কথা বলা হয়। সেখানে দুই সহস্র এর জায়গায় দুই সহস্রাধিক মানুষকে নির্বিচারে হত্যার কথা বলেছে বিএনপি।

এই দফায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ পাশবিক নির্যাতন চালায়, অগণিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করে। ফলে ছাত্ররা ৯ দফা ঘোষণা করে, যা পরবর্তীদে ১ দফায় রূপান্তরিত হয় এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে বলে উল্লেখ করা হয়। বিএনপির প্রস্তাবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ওপর ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ পাশবিক নির্যাতন চালায়..., ফলে ছাত্ররা ৯ দফা ঘোষণা করে, যা পরবর্তীতে ১ দফায় রূপান্তরিত হয় শুব্দগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে.....