ছাত্রদলের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ১১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রত্ব না থাকার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘোষণা করা এই কমিটি নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী সুলতান আহমেদকে (রাহী) সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সংগীত বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সর্দার জহুরুল ইসলামকে। তাঁদের কারও নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ওই কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন শাকিলুর রহমান, সহসভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান, সাবিহা আলম (মুন্নি), জান্নাতুন নাঈম (তুহিনা), জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শফিকুল ইসলাম (শফিক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তাহের রহমান ও জাহিন বিশ্বাস (এষা)। সাংগঠনিক সম্পাদককের পদ পেয়েছেন মাহমুদুল ইসলাম (মিঠু) এবং দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাফিউল জীবন।
আগামী সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আংশিক এই কমিটিকে। একই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল কমিটি গঠনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। হল কমিটি গঠন হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত হবে।
ছাত্রদল জানিয়েছে, ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সবশেষ ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২১ সালের ১৬ জুলাই। এই কমিটি ছিল ৩১ সদস্যের। নতুন কমিটির সভাপতি সুলতান আহমেদের আগের কমিটিতে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের কারো নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই।
সভাপতি সুলতান আহমেদের দাবি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া সর্দার জহুরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙগুয়েজের ভাষা শিকার শর্ট কোর্সে ভর্তি আছেন।