শ্রাবণ মাসের প্রায় এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কাংখিত পারিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় এই এলাকায় খাল-বিল ও পুকুরে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে না পারায় কৃষক পড়েছেন বিপাকে।
অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে পাট নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে জাগ দিচ্ছেন। এতে করে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আবার অনেকে অর্থের অভাবে গাড়ি ভাড়া করতে না পেরে জমিতে স্তুপ করে রাখা পাটের বোঝা প্রচন্ড রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে।
শুকিয়ে যাওয়া পাট নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। উপজেলার থানাহাট ইউনিয়ন বজরা তবকপুর এলাকার পাট চাষী বুদু চন্দ্র বলেন, এক একর
জমিতে পাট চাষ করেছি। পাট কাটার পর ভরা বর্ষায় খাল-বিলে পানি না থাকায় গাড়ি ভাড়া করে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে পাট জাগ দিতে হচ্ছে।
এতে করে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার পাট চাষী আব্দুল জব্বার বলেন, বৃষ্টি হলেও তা পরিমাণমত না হওয়ায় খাল-বিল ও ডোবা পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদ বাড়ী থেকে দূরে হওয়ায় গাড়ি ভাড়া বেশি চাওয়ার কারণে পাট কেটে ছয় দিন ধরে মাঠের মধ্যে স্তুপ করে রেখেছি। এতে করে পাটের ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কনক চন্দ্র রায় বলেন, এবারে উপজেলায় তিন হাজার তিনশত পাঁচ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার তিনশত হেক্টর জমিতে তোষা আর বাকী পাঁচ হেক্টর জমিতে কেনাপ পাট চাষ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পানির স্বল্পতা থাকলে সেখানে রিবন ও রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়াইয়া নিয়ে পাট পঁচানো সম্ভব আর যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি রয়েছে সেখানে সরাসরি পাট পঁচানো যায়।