রোববার দুপুরে উল্লাপাড়া পৌর সভার এনায়েতপুর আদর্শগ্রামে আগুণ লেগে ৭টি বাড়ি পুড়ে গেছে। এ সব বাড়ির লোকজন তাদের ঘর থেকে কোন জিনিসপত্র বের করতে পারেনি। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৫ লাখ টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর দাবি।
বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুণের সূত্রপাত হয়েছে বলে বলছেন উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিকেরা হলেন, সুকুমার রায়, মাধবী মালি, তপন দত্ত, শংকর কুমার, গৌতম কুন্ডু, সঞ্জীব দাস, বিমল দাস ও সুমন মালি। বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন ও জামায়াতে ইসলামীর উল্লাপাড়া শাখা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে তপন দত্তের বাড়ি থেকে আগুণের সূচনা হয়। পরে আগুণ পাশ^বর্তী অপর বাড়িগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুণ নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্থ মাধবী মালি, সুকুমার রায়, শংকর মালি ও সঞ্জীব দাস জানান, তারা ভূমিহীন হাওয়ায় সরকার থেকে কয়েক বছর আগে আদর্শগ্রামে বাড়ি পেয়েছেন। সেখানেই তারা বসবাস করছিলেন। আকষ্মিকভাবে আগুণ লাগায় তারা তাদের ঘর বাড়ি থেকে কোন জিনিসপত্র বের করতে পারেননি। সবকিছু পুড়ে গিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তারা।
এরা বলেন, ভূমিহীন হয়ে এখানে আশ্রয় পেয়েছিলাম এখন গৃহহীন হয়ে পড়লাম। সব মিলিয়ে তাদের ক্ষতির পরিমান ১৫ লাখ টাকারও বেশি হবে বলে দাবি করেছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তাদের আপাততঃ মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে তিনি দ্রুত তার কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুণের সূত্রপাত হয়। পুড়ে যাওয়া ৮টি পরিবারের কোন কিছুই তাদের ঘর থেকে বের করতে পারেনি। এ সব পরিবার এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার রিমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ঘর উঠানোর জন্য ৬ হাজার টাকা চেক ও ২ বান্ডিল করে ঢেউ টিন প্রদান করেন। এছাড়া ৩০ কেজি করে চালও প্রদান করা হবে বলে ঘোষনা দেন নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত।
এদিকে রোববার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উল্লাপাড়া শাখার আমীর অধ্যাপক শাহজাহান আলী পুড়ে যাওয়া পরিবারগুলোর আপাতত খাবার ও কাপড়-চোপড় কেনার জন্য ১৮ হাজার টাকা প্রদান করেন।