৯ জুলাই, ২০২৫

সিরাজগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রতারণা

সিরাজগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রতারণা

চটকদার কথাবার্তা ও সব মুশকিল সমাধান এমন সব প্রচারণা দিয়ে সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিতোর ঘটনা যেনো হরহামেশাই ঘটছে। ভুয়া এসব কবিরাজির ফাঁদে পরে পুরুষ ও নারীরা অর্থনৈতিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এসব প্রতারণা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের৷

সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের বড় পাকুরিয়া গ্রামের এক ভুয়া নারী কবিরাজ চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

নিঃসন্তান নারীদের সন্তান হওয়া, গোপন রোগের চিকিৎসা, দাম্পত্য সংকট, বিয়ে না হওয়া, প্রেমে ব্যর্থতা- সহ বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে সারিয়ে তোলার কথা বলে পানিপড়া ও তাবিজ-কবজের মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন রাশিদা খাতুন। এতে করে গ্রামের সাধারণ মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ওই ভুয়া কবিরাজের নাম রাশিদা খাতুন। তিনি বড় পাকুরিয়া (ময়নাকুল) গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় দশ বছর ধরে বাড়িতে এ কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ বাবার বাড়িতেই কবিরাজি চিকিৎসালয় খুলে বসেছেন রাশিদা খাতুন। তার সঙ্গে সহযোগীতা করেন তার আপন ভাই। সিরাজগঞ্জ জেলা সহ আশেপাশের জেলাগুলো থেকে নিয়োমিত লোকজন আসতে দেখা যায়।

তবে গনমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিত দেখে কয়েকজন এগিয়ে এসে নানা বিষয়ে বলতে থাকেন।

তারা বলেন, রাশিদা খাতুন কবিরাজি চিকিৎসা করেই জিবিকা নির্বাহ করেন। ঝার ফুক, পানি পাড়া দিয়েই মোটা অংকের টাকা নেয়। যা মানুষের কোনো কাজেই আসে না।

নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় অনেকেই বলেন, রাশীদা খাতুন কতোটুকু কি জানে আমাদের জানা নেই৷ তবে ঝাড় ফুক, পানি পরার মাধ্যমে প্রতারণা করেই চলে তার জীবন। বর্তমানে তিনি কবিরাজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রতারণার শিকার বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা রাশীদার বিষয়ে নানা কথা শুনেছি। তার দেওয়া ঝাড়ফু, পানি পড়াতে নাকি অনেক জটিল কাজ সমাধান হয়। তাই আসছিলাম এই ভুয়া কবিরাজের কাছে। কিন্তু আমাদের কোনো কাজই হয়নি। বরং আমাদের অনেক টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। আমরা এই ভুয়া কবিরাজের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে কবিরাজ রাশীদা খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোন কথা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে মানুষ বিশ্বাস করে আসে। আমার দেওয়া পানি পড়াতে তাদের কাজ হয়। এখন আল্লাহ রহমতে অনেক লোক আসে। রোগী প্রতি আমি টাকা নেই৷ 

এ বিষয়ে কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি৷ অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।