৯ জুলাই, ২০২৫

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি, ইসলামী দলগুলোকে এক করার কাজ চলছে

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি, ইসলামী দলগুলোকে এক করার কাজ চলছে

সংস্কার বাতীত নির্বাচন দেওয়া হলে সে নির্বাচন হবে প্রশ্নবিদ্ধ। সংস্কার, স্বৈরাচারীদের বিচার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া এক সঙ্গে চলতে হবে। সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) নির্বাচন ব্যবস্থার পক্ষে ইসলামী দলগুলো ঐক্যমত্য রয়েছে। এখন চলছে ইসলামী দলগুলোকে এক করার কাজ।

মঙ্গলবার দুপুরে নিহত কর্মীর কবর জিয়াতে গুরুদাসপুরে এসে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখ চরমোনাই।
তিনি বলেন, ‘দেশের সমস্ত ইসলামী দলগুলোকে এক করার জন্য, ঐক্য গড়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো এক সঙ্গে থেকে একই বাক্সে ভোট করতে পারে। মানবতার কল্যণে যারা আমাদের সাথে অন্তর্ভুক্ত হবে সবাইকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো।’

তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদেশ্যে তিনি বলেন, ‘৫৩ বছর যারা দেশ শাসন করেছেন-তারা দেশকে রক্ষা করতে পারেননি। মানুষের আশা আঙ্খাকার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যার্থ হয়েছেন। জুলুম অত্যাচার অবিচার থেকে মানুষকে ফেরাতে পারেননি। চাঁদাবাজ-দুর্নীতি রোধ করতে পারেননি।

পীড় বলেন, প্রায় প্রতিদিনই দলের পক্ষ থেকে সভা সমাবেশ অব্যহত হয়েছে। আমরা মানুষের কাছে হকের দাওয়াত দিচ্ছিÑ ইসলাম ব্যতিত শান্তি এবং মুক্তি নেই। আমরা মনে করি শুধু নেতা বা দল পরিবর্তন করে দেশে শান্তি আসতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত নীতি ও আদর্শ পরিবর্তন না আসে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের মানুষ মুক্তি পাবেন। আমরা শান্তির পথে মুক্তির পথে। আসুন দেশ থেকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মূল উৎপাটন করতে সবাই হাতপাখা প্রতিকে ভোট দেই।’

নির্বাচন এবং সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সাবেক সিইসি আব্দুর রউফ ও গ্রেপ্তারকৃত সিইসি হাবিবুল আউয়ালের উদ্বৃতি দিয়ে চরমোনাই পীড় আরো বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে সংস্কার ব্যতিত নির্বাচন হলে হাজার বছরেও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেই কেবল স্বৈরাচারী পন্থা দূর হবে। জাতীয় সংসদে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটবে। আমরা বলছি না আগামিকাল বা পরশু সংস্কার শেষ করতে হবে। আবার দীর্ঘ সময়ও কাম্য নয়। তবে যতটুকু সংস্কার হলে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব ততটুকু সংস্কার করতে হবে। যেসব সংস্কার না করলেই নয় সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের তাগিদ রয়েছে তাদের।

এর আগে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকার সমাবেশে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত গুরুদাসপুর পৌর সদরের পারগুরুদাসপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার (৪৫) কবর জিয়ারত করেন মুফতি ফয়জুল করিম। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিহত পরিবারকে ১লাখ ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন এবং পরিবারটির দায়িত্ব নেওয়ারও ঘোষণা দেন। এসময় তার সাথে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যপক মাহবুবুর রহমান, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠকি সম্পাদক মুফতি নুরুন্নবি, নাটোর জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী ও গুরুদাসপুর উপজেলা সভাপতি ওমর ফারুক প্রমুখ।