৩ জুলাই, ২০২৫

বাগমারায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বাগমারায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর প্রতিবাদ করায় অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল থেকে বাহির করে দিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল বারিক। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল বারিক।

ঘটনাটি ঘটেছে,রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরুৎসা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায়।

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হামিরকুৎসা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) আব্দুল বারিক মাদ্রাসার ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন ধরনের উত্যক্তের মাধ্যমে যৌন হয়রানী করে আসছে।

যৌন হয়রানীর প্রতিবাদ করায় অত্র মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল থেকে বাহির করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানার পর ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক আব্দুল বারিককে এমন ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি শিক্ষার্থীর অবিভাবককে গালমন্দ করেন এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করার চেষ্টা করেন বলে তিনি অভিযেগ করেন।

শিক্ষকের এমন আচরন দেখে তিনি তার মেয়েকে মাদ্রাসায় থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নিজের সম্মান হানী ও মেয়েকে যৌন হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর শিক্ষক আব্দুল বারিকের শাস্তির দাবী জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তিনি অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবী করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল বারিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ওই ছাত্রীর সাথে আমার কোন কথাবার্তা হয় না। এছাড়াও অষ্টম শ্রেনীতে আমার কোন ক্লাস নেই। তার অবিভাবক আমাকে হেয় করার জন্যই এমন মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক দ্বারা যদি নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী যৌন হয়রানীর শিকার হন, তাহলে এটা অত্যান্ত দুঃখজনক। যৌন হয়রানীর ঘটনার সাথে শিক্ষক যদি জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।