বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের উনুখা পূর্বপাড়া কবরস্থানে সমাহিত আওয়ামী লীগ নেতার বাবা আব্দুল জলিল তার তার পরিবারের বাঁধানো কবরগুলো ভেকু মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আব্দুল জলিল উল্লাপাড়ার সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরো এবং অত্র ইউনিয়র আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের বাবা। ৩৩ বছর আগে আব্দুল জলিল মারা যান। তিনি জাতীয় পার্টি করতেন এবং তিনিও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
তাকে উক্ত কবরস্থানে সমাহিত করে কবরস্থানটি ইট দিয়ে বেধে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার পরিবারের আরও ৩ ব্যক্তি রাজউদ্দিন প্রামানিক, খলিলুর রহমান ও হিটলারের কবরগুলোও বাধাই করা ছিল। এসব কবরই গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী নেতা রফিকুল ইসলাম হিরোর পরিবার আত্মগোপনে আছে। তবে উক্ত কবরস্থান কমিটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আওয়ামী লীগ নেতা হিরোর মেয়ে সাদিয়া ইসলাম সেতু মুঠোফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, তার বাবা ও চাচা আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তার দাদা ও স্বজনদের বাঁধানো কবরগুলো গুড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে তারা আত্মগোপনে থেকে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। এই মুহুর্তে প্রকাশ্যে এসে প্রতিবাদ করা বা আইনের আশ্রয় নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি এই ঘটনাকে প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং অত্যন্ত ঘৃণিত বলে উল্লেখ করে এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কবরস্থান পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মোঃ আকবর আলী এবং ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সাদিয়া ইসলাস সেতুর আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলে উল্লেখ করে জানান, ওই কবরস্থানে প্রায় ৪০টি বিভিন্ন ধরনের বড় গাছ ছিল এবং এই গাছের গোড়া ও শিকড় পুরো কবরস্থানে ছড়িয়ে পড়ায় মৃত ব্যক্তিদের কবরস্থ করা খুবই অসুবিধা হতো।
তারা সরকারি নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়ে কবরস্থানের গাছগুলো ১১ লাখ ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এই কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই টাকা দিয়ে কবরস্থানের চারপাশে সীমানা প্রাচীর এবং কবরস্থানে একটি পাকা ঘর নির্মান করবেন।
সেই সাথে কবরস্থানের পুরো অংশ সমান, গাছগুলোর শিকর উৎপাটন এবং মাটি ফেলে উঁচূ করার জন্য সমতল করতে ভেকু মেশিন লাগিয়ে সংষ্কার শুরু করেন। এ সময় ইট দিয়ে বাঁধাই করা সব কবর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এটা কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা ধর্মীয় উগ্রতার কোন বিষয় নয়। এলাকাবাসীর সম্মতিতেই এ কাজ করা হয়েছে।