বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োহে চলমান নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন নীতিমালার খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে। জনপ্রশান ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে।
ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে। গণবিজ্ঞপ্তির সময় কারও বয়সসীমা বিবেচনা করা হবে না। যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সনদ অর্জন করতে পারবেন, তারা সবাই গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।আজ রোববার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত|য়ন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবিত নীতিমালা নিয়ে সভা করেছে মন্ত্রণালয়। সভায় পরীক্ষা এবং নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে প্রার্থীর বয়স গণনা বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা মুক্ত প্রভাতকে বলেন, ‘শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে এনটিআরসিএ বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত পাওয়ার সংশোধীত নীতিমালা জারি করা হবে।’
নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতিতে কী ধরণের পরিবর্তন আসছে তার ব্যখা দিয়ে এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘বিষয়টি খুব সেনসিটিভ। এনটিআরসিএ সুপারিশ করেছে নির্বাচনী বা বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচ করার। কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটি ঠিক করা হবে এনটিআরসিএর বোর্ড সভায়। বোর্ড যদি মনে করে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করবে, তাহলে সেটি তারা করতে পারবে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, কেবলমাত্র এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা একধাপে শেষ করা যেতে পারে। যেমনটি বর্তানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষক নিবন্দন পরীক্ষায় অসংখ্য প্রার্থী অংশগ্রহণ করে থাকেন। যার ফলে নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। এই সময় কমিয়ে আনার জন্য এনটিআরসিএ এমন প্রস্তাব দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি পরীক্ষা পদ্ধতি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া যায়না। এছাড়া লিখিত পরীক্ষা না নিলে প্রার্থীদের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতাও যাচাই করা সম্ভব নয়। এ জন্য লিখিত অংশ রেখেই পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তস আনা হবে।