দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে একাদশে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে শারজায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন, তানভীর ইসলাম ও নাহিদ রানাকে বাদ দেওয়ার ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তোলেন লিটম দাসরা। এরপর ব্যাটারদের বেখেয়ালি আসা যাওয়ায় ৮৫ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ম্যাচটি ১৬২ রানে নিয়ে যান জাকের আলী, হাসান মাহমুদ আর শরিফুল ইসলাম মিলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তৃতীয় ম্যাচটি আরব আমিরাতের কাছে করুণ পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।
১৬২ রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের স্বাদ পায় আইসিসির সহযোগী এই দল। ফলে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে সিরিজ জিতলো আরব আমিরাত।
পিঠের চোটে এই সিরিজে খেলতে পারছেন না সৌম্য সরকার।
এর আগে দুই ম্যাচের আমিরাত সিরিজটা ছিল একধরণের গা গরমের উপলক্ষ। পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাওয়ার পথে শারজার দুটি ম্যাচকে এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব বাংলাদেশ দল দিয়েছিল বলে মনে হয় না।
আর গা গরমের সিরিজই যেহেতু, পাকিস্তান সিরিজের স্বার্থে সেটাকে টেনে একটু লম্বা করলেই ক্ষতি কী। সংযুৎদ আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজটা হয়ে গেল তিন টোয়েন্টির, যার শেষটি আজ।
কিন্তু শারজার আজকের শেষ ম্যাচটিকে আর কোনোভাবেই শুধু পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি ভাবার উপায় থাকছে না। পরশু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০৫ রান করেও শেষ রক্ষা হয়নি।
হারতে হয়েছে ২ উইকেটে। ফলে আজকের শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য এক রকম ফাইনালই।