১৩ মে, ২০২৫

ছাত্রদল নেতাকে হুমকি দিয়ে মারধরের শিকার গোবিপ্রবি কার্মচারী

ছাত্রদল নেতাকে হুমকি দিয়ে মারধরের শিকার গোবিপ্রবি কার্মচারী

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( গোবিপ্রবি) ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকে হুমকি দেওয়ায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কর্মচারী ইয়াসিন শিকদারকে মারপিট করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুতের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ১২ মে রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউমার্কেট সংলগ্ন স্থানে সংঘটিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায়, স্বাধীনতা দিবস হলের কর্মচারীর রাজীব ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সাথে তার ছবি আছে দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে হেডম নিয়ে খারাপ আচরণ করে। নিজের অনেক ক্ষমতা আছে শিক্ষার্থীরা তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রদল কে পাত্তা দেয় না সহ বিভিন্ন কথা বলে।

এই সকল কথা বলার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কর্মচারী ইয়াসিন শিকদার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ কে ধমক দিয়ে চুপ কর বলে ধমক দেন। এরপর তারা দুইজন সেখান থেকে চলে যেয়ে রাতে ইয়াসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাকে মারপিট করে।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কর্মচারী ইয়াসিন শিকদার বলেন,"নিউ মার্কেটে আমার এক কলিগের সঙ্গে ঝামেলা হয়।  পরবর্তীতে মিটমাট হয়ে যায়। আমি শুনে সেখানে যায় আমার সাথে দুইএকটা কথা কাটাকাটি না হতেই আমার উপর বিদ্যুতের ১৫-২০ জন অনুসারীরা হামলা করে আমার কান ফাটিয়ে দেয়। এর আগে আমার সঙ্গে কারো ঝামেলা ছিল না।"

ছাত্রদলের কেউ মারধর করেননি দাবি করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, " সে বিভিন্ন সময় হেডম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। সে বলে বেড়ায় গোপালগঞ্জে কেউ তাকে কিছু বলার সাহস নেই এই সময়েও। সে আজ হেডম দেখিয়ে খারাপ আচরণ করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে মেরেছে। "

ছাত্রদলের সভাপতি দুর্জয় শুভ বলেন, যতকিছুই  তার ( ইয়াসিন শিকদার)  সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। ঝামেলা মূলত তার সাথে নয় ঝামেলা ছিল তার এক কলিগের( কর্মচারী রাজিবের) সাথে। তিনি স্বাধীনতা দিবস হলের একজন কর্মচারী। তার কাছে বিএনপির মির্জা ফখরুলের ইসলামের সাথে  উঠা একটা পিক ছিল।

যা গোবিপ্রবির ছাত্রদলের সভাপতিকে দেখিয়ে বলে এসব জায়গায় যেতে হলে আমার সাথে যোগাযোগ করিস। এটা ছিল পূর্বের ঘটনা। আজ নিউমার্কেটে অন্য একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল তার কলিগ কর্মচারী রাজিবের সাথে। রাজিব মিমাংসা করে চলে যায়। এরপর সে ঘটনাস্থলে আসসে চায়।

কিন্তু তাকে নিষেধ করা স্বত্বেও আসে। আসার পর সে বড় বড় হেডম দেখাতে থাকে যা  একটা পর্যায় দু একটা কথা কাটাকাটি হতেই  একটু বেশি হেডম দেখিয়ে  ভুক্তভোগী ( ইয়াসিন শিকদার) ছাত্রদল সভাপতিকে  বলেন, ঔই বিদ্যুৎ তুই চেপে যা। এরপরই মূলত ঘটনাটি ঘটে।"