সরকারি অনুমোদন না নিয়ে উল্লাপাড়ার ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮টি গাছ বিক্রি করে দেবার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী বুধবার এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন।
প্রধান শিক্ষক বলছেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তিনি গাছ বিক্রি করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে প্রধান শিক্ষককে অনুমোতি দেওয়াহয়নি।
এলাকাবাসীর পক্ষে দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ভাটবেড়া গ্রামের প্রধানদের একজন সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, উক্ত ইউনিয়নের ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউকে কিছু না জানিয়ে তার স্কুল চত্বরের ১৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
বুধবার সকালে ক্রেতারা গাছগুলো কাটতে শুরু করলে গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন এবং গাছ কাটতে বাধা প্রদান করেন। কিন্তু ততক্ষণে কয়েকটি গাছ কাটা হয়ে যায়। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে উক্ত প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভাটবেড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তার স্কুলে ওয়াসব্লক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওয়াসব্লক নির্মানের জন্য স্কুল চত্বরের গাছগুলো বিক্রি করতে তিনি ইতোমধ্যে শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন। খুব শিগগিরই এখানে ওয়াসবøক নির্মানের কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করলে শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন জানান, কথিত প্রধান শিক্ষক তার দপ্তরে স্কুলের গাছ বিক্রির অনুমতি চেয়ে আবেদন দিয়েছেন।
আবেদনটি সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে পাবনা বন বিভাগের কাছে অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে অনুমতি পাওয়ার আগে প্রধান শিক্ষকের গাছ কেটে ফেলা সম্পূর্ণ অবৈধ।
এ ব্যাপারে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কেটে ফেলা গাছগুলো বিদ্যালয় অঙ্গনে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর এগুলো নিলামে বিক্রি হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, সরকারি অনুমোদন ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি বা কাটার কোন বিধান নেই। বিধি ভঙ্গ করে কেউ এ কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, গাছ প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। প্রয়োজন হলে কাটতে হবে। তবে তার জন্য বিধি মোতাবেক অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি তিনি দ্রæত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।